গবেষক বশীর আল-হেলালের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বশীর আল-হেলাল
বশীর আল-হেলাল। ছবি: সংগৃহীত

স্বনামধন্য লেখক-গবেষক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও সাবেক পরিচালক বশীর আল-হেলালের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

গত বছর ৩১ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত জটিলতায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

বশীর আল-হেলাল ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখি করতেন।

১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে বাংলায় এমএ পাস করে চাকরি নেন কলকাতায় হজ কমিটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।

তার প্রথম গল্পের বই 'স্বপ্নের কুশীলব' কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।

১৯৬৮ সালের শুরুর দিকে তিনি মাকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৬৯ সালের শুরুতে সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলা একাডেমিতে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নেন।

চব্বিশ বছর বাংলা একাডেমিতে কাজ করার পর ১৯৯৩ সালে পরিচালক পদ থেকে তিনি অবসর নেন।

গ্রামীণ ও শহুরে মধ্যবিত্ত জীবনকে আরও অর্থবহ করতে জীবনধর্মী ও সমাজ সচেতনতামূলক ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখেছেন বশীর আল-হেলাল।

প্রায় ৪০ প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে বাংলাভাষার ওপর তার বই রয়েছে ছয়টি।

'ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস' ও 'বাংলা একাডেমির ইতিহাস' তার ২টি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক গবেষণালব্ধ বই।

তার প্রকাশিত গল্পের বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: 'প্রথম কৃষ্ণচূড়া', 'আনারসের হাসি', 'বিপরীত মানুষ', 'ক্ষুধার দেশের রাজা' ও 'গল্পসমগ্র-প্রথম খণ্ড'।

প্রকাশিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে: 'কালো ইলিশ', 'ঘৃতকুমারী', 'শেষ পানপাত্র', 'নূরজাহানদের মধুমাস', 'শিশিরের দেশে অভিযান' ও 'যে পথে বুলবুলিরা যায়'।

সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৩), লেখিকা সংঘ পুরস্কার (২০০২), গৌরী ঘোষাল স্মৃতিসম্মান, কলকাতা (২০০২), অধ্যাপক আবুল কাসেম পুরস্কার (২০০৪) ও তমুদ্দিন মজলিশ মাতৃভাষা পদকে (২০১৫) ভূষিত হয়েছেন।

বশীর আল-হেলালের প্রকাশিত বইগুলো নিয়ে বাংলা একাডেমি থেকে রচনাবলী প্রকাশের কাজ চলছে। তবে, তার বেশকিছু পাণ্ডুলিপি অপ্রকাশিত রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

8h ago