বইমেলা

একুশে বইমেলা কী দিয়ে যায়

শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। মহামারীর দুই বছর পর সঠিক সময়ে শুরু হয়েছিল এবারের বইমেলা। কাগজের মূল্যবৃদ্ধি, হামলার ভয়, কিছু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেখক হবার ঘটনা- এসব কিছুকে পেরিয়ে আমাদের কী দিয়ে গেল মাসব্যাপী এই বইমেলা? যেখানে এবারের মেলায় নতুন বই এসেছে মোট ৩ হাজার ৭৩০টি। গত বছরও এ সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বাংলা একাডেমির তথ্যমতে, এবারের মেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার বই।

শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। মহামারীর দুই বছর পর সঠিক সময়ে শুরু হয়েছিল এবারের বইমেলা। কাগজের মূল্যবৃদ্ধি, হামলার ভয়, কিছু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেখক হবার ঘটনা- এসব কিছুকে পেরিয়ে আমাদের কী দিয়ে গেল মাসব্যাপী এই বইমেলা? যেখানে এবারের মেলায় নতুন বই এসেছে মোট ৩ হাজার ৭৩০টি। গত বছরও এ সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বাংলা একাডেমির তথ্যমতে, এবারের মেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার বই। 

বইমেলা চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের লেখক ও গীতিকার চন্দ্রিল ভট্টাচার্য এসেছিলেন ঢাকায়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত একটি সভায় কথা উঠলো বইয়ের বিভিন্ন বিচিত্রতা, ই-বুক ইত্যাদি নিয়ে। তাকে প্রশ্ন করা হয় বইয়ের ভবিষ্যৎ কী? তিনি বললেন, 'সত্যি বলতে মুদ্রিত বই আসলে থাকবে না'। বাঙালীরা নতুন জিনিস প্রথমদিকে নিতে পারে না এবং প্রযুক্তির অগ্রসরতাসহ বিভিন্ন বিষয় বলে তিনি ব্যাখ্যা করলেন বৈ কি। তবে বাক্যটা ছিল স্পষ্ট, 'মুদ্রিত বই আসলে একসময় থাকবে না'।

এখন ভাবুন, সময়ের ব্যাপ্তির দিক থেকে হোক কিংবা কলেবরের দিক থেকে, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম বইমেলার একটি হলো অমর একুশে বইমেলা। সেখানে পুরোটাই মুদ্রিত বইয়ের উপস্থিতি। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইয়ের ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর আলাদা স্টল থাকলেও, সেটি যে পাঠককে সিকিভাগ প্রভাবিতও করছে না, তা স্পষ্ট। একদিকে, প্রযুক্তি সচেতন মানুষরা বলছেন, মুদ্রিত বই থাকবে না, আবার অন্যদিকে সেখানেই হচ্ছে পৃথিবীর দীর্ঘতম মুদ্রিত বইয়ের মেলা। আবার সেই সময়ই কিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লিখে দিচ্ছে সৃজনশীল সব লেখা। এই প্রযুক্তি-সৃজশীলতা-বইমেলা, ত্রিমুখী 'মারপিট' চলাকালীন বইমেলা থেকে আসলে আমরা কী পেলাম? সদ্য শেষ হওয়া বইমেলাই বা আমাদের কী দিয়ে গেল?

এই ভাবনার শুরু বইমেলায় মানুষের উপস্থিতি কতটুকু সেখান থেকে। একটা মেলায় ঠিক কত সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হচ্ছে, তার উপর অনেকটাই মেলা জমজমাট হচ্ছে কিনা তা নির্ভর করে। কারণ 'মেলা' হবার শর্তই হয়তো এটা। এখন বইমেলায় ঠিক কতজন মানুষ অংশ নেয়? এই হিসেবটা সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে মোবাইল অপারেটরগুলো। কারণ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ঠিক কতগুলো সচল মোবাইল রয়েছে, তা দেখতে পারলেই বেশ ভালো একটা ধারণা পাওয়া যেত। যদিও এরকম কোন প্রতিবেদন পাইনি। তবে বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, এবারের মেলায় এসেছেন ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৩ জন মানুষ। প্রায় কোটির কাছাকাছি মানুষ যে বইমেলায় এলেন, তারা কেন এলেন?

পেছনে তাকালে দেখি, অমর একুশে বইমেলার কলেবর দিনে দিনে বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বইমেলাকে ঘিরে মানুষের আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ। প্রথমদিকে বাংলা একাডেমির সামনে, তারপর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং এখন সেটির গণ্ডি পেরিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছড়িয়ে পরেছে বইমেলার পরিসর। অথচ বইমেলা শুরুর ইতিহাস নিয়ে নেই তেমন কোন কাজ। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা অনবরত মাইক্রোফোন চললেও, সেখানে কখনও শোনা যায় না বইমেলা শুরুর মানুষদের কথা। ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক কাজী মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে প্রথম অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন সম্পন্ন করেন। অথচ কাজী মনজুরে মওলা নামে যে আদৌ কেউ কোনদিন বইমেলা বা বাংলা একাডেমির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন, তার কোন ছাপই নেই বইমেলায়। এত বড় বইমেলায় কি তার নামে কোন চত্বর হতে পারতো না?

প্রতিবছর বইমেলার নকশা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ২০২২ বইমেলায় পরিসর বাড়াতে গিয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও কৃত্রিম জলাশয়কে মাঝে রেখে তিনদিকে বইমেলাকে প্রসারিত করা হয়েছিল। টিএসসির দিকের প্রবেশদ্বার দিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রবেশ করায় স্বাধীনতা স্তম্ভ পেরিয়ে অপর পাশের স্টলগুলোতে যাওয়া ছিল প্রায় আধ ঘণ্টার ব্যাপার। এত ভিড় পেরিয়ে সেখানে তাই তেমন কেউই ঢুঁ মারতে চাইতেন না। তাই সেখানে স্টল বরাদ্দ পাওয়া প্রকাশকেরা জায়গাটাকে ডাকতে শুরু করেন 'ভাসানচর'। কেউ যেন নেই সেখানে। বইমেলার একপাশে প্রচণ্ড ভিড় আর অন্যপাশে হাহাকার। এরকম 'অদ্ভুতদর্শন' নকশা থেকে এবার বেরিয়ে এসেছে বাংলা একাডেমি। কিন্তু তাতেও কি নকশাগত বিপত্তির সমাধান হয়েছে?

এবারের বইমেলায় খাবারের স্টল দেয়া হয়েছে প্রবেশদ্বার থেকে একদম শেষে। যেন সেখানকার ভিড় সাধারণ বই বিক্রিতে প্রভাব না ফেলে। অথচ লেখকদের নিয়ে বইমেলায় আয়োজন হবার একমাত্র স্থান 'লেখক বলছি' মঞ্চটি ছিল খাবারের দুটো স্টলের মাঝে। এরকম অদ্ভুত নকশা কীভাবে করা হয়েছিল কে জানে! অবশ্য মেলা শুরুর কিছুদিন পর সেই মঞ্চটিকে স্থানান্তর করা হয় বইমেলার অপরপ্রান্তে। এবং সেটাও এমন জন অরণ্যে যে, সেখানে কখনই দশজনের উপর মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় না।

লেখক মঞ্চে এসে লেখকরা তাদের লেখালেখি নিয়ে কথা বলবে বইমেলায়- এমন জমজমাট একটি বিষয়টি হাস্যকর জায়গায় পরিণত হয়েছে সেখানের আলোচনায় অংশ নেয়া উপস্থাপকদের কারণে। বেশিরভাগ আলোচনাই ছিল সাহিত্যের নিরিখে একদমই সাদামাটা ও অপ্রয়োজনীয়। কিছুক্ষেত্রে অংশ নেয়া মানুষদের কথাবার্তা এতটাই অকাব্যিক ছিল যে, বইয়ের প্রতি কম আগ্রহী মানুষেরা এগুলো শুনলে আর কোনদিন বই পড়তে চাইবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। একটা উদাহরণ দেওয়া যায়। 

বাংলাদেশের মৌলিক থ্রিলার বই '১৯৫২ নিছক কোন সংখ্যা নয়'। বইটিতে মূলত একটি গাড়ির নাম্বার হিসেবে দেখানো হয় ১৯৫২ সংখ্যাটি। গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতি, খুন ইত্যাদি নিয়ে একটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস। বইয়ের লেখক যখন 'লেখক বলছি' মঞ্চে এলেন, দেখা গেল প্রশ্নকর্তা তার লেখা নোট দেখে দেখে প্রশ্ন করছেন, '১৯৫২ সালের আজকের এই একুশে ফেব্রুয়ারি। এই যে আপনি বইটা লিখলেন, ১৯৫২ নিয়ে, সেটা নিছক সংখ্যা নয় কেন যদি বুঝিয়ে বলতেন'। অর্থাৎ প্রশ্নকর্তা বইটা সম্পর্কে জানা দূরে থাক, প্রশ্ন করতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে একটি থ্রিলার ঘরানার উপন্যাসকে ভাষা আন্দোলনের বইয়ের জায়গায় নিয়ে গেছেন। নির্দিষ্ট এই আয়োজন ছাড়াও লেখক বলছি মঞ্চের একাধিক আয়োজন ছিল এরকম অদ্ভুতুড়ে।

আরেকটি বিষয় উঠে আসছে যে, আদর্শ প্রকাশনীর বইকে বাংলা একাডেমির নীতি বিরোধী হিসেবে দেখিয়ে স্টল বরাদ্দ দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হলেও, বইমেলা শুরুর পর একাধিক প্রকাশনী থেকে একাধিক বইকে একই নিয়ম দেখিয়ে বইমেলায় প্রদর্শন 'নিষিদ্ধ' করা হয়। অথচ তাদের প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ নিয়ে কোন কথা ওঠেনি। তবে কি একই দোষে দুষ্ট হয়ে আদর্শ প্রকাশনী কি বেশি শাস্তি পেল? এরকম প্রশ্ন তুলছে কেউ কেউ। 

তবে এসব কিছুকে ছাপিয়ে এই বইমেলা আসলে আমাদের কী দিয়ে যায়? চ্যাট জিপিটির যুগে, যেখানে প্রযুক্তিপ্রেমী পাঠকেরা ভয় পাচ্ছেন সৃজনশীল লেখালেখিতে প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের প্রতিযোগিতা নিয়ে, সেখানে মুদ্রিত হওয়া 'মানুষের লেখা বই' কেমন ভাবে গ্রহণ করছে পাঠকেরা? একটু খেয়াল করলে পাব, মননশীল পাঠকেরা ঠিকই খুঁজে নিচ্ছে মনের মত বই। আসিফ নজরুলের লেখা 'সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২' নামের বইটি বইমেলার মধ্যেই বেশ কয়েক মুদ্রণ শেষ হয়ে গেছে। এই বইটি এই কারণে উল্লেখ করা যায় যে, সংবিধানের মত জটিল বিষয় নিয়ে নিশ্চয়ই মানুষের আগ্রহ একদমই কম। তার উপর বইটির লিখিত মূল্য ৫০০ টাকা। দুর্মূল্যের এই বাজারে সংবিধান নিয়ে বই কেনার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ কি বইমেলা নিয়ে আমাদের ইতিবাচক বার্তা দেয়?

পুরো বইমেলাতেই দর্শনার্থী ছিল চোখে পরার মত। যদিও কাগজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পাঠকদের বই কেনার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে তার বাইরেও বই কেনার ক্ষেত্রে তরুণদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে, তরুণরা একমাস জুড়ে শুধু বই কিনছেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি দারুণ ব্যাপার। যা বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রথম পদক্ষেপও বলা চলে। 

বইমেলা না হলে কী হতো? এই বই তো ই-বুক আকারে করে সহজেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে আদান-প্রদান করা যেত। এই ধারণা অনেকেরই আছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে এসব ধারণা থাকবেই। কিন্তু বইমেলার সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক দু'টো দিকেরই কিছু অদৃশ্য বিষয় আছে। আপনি যখন একটি বই মেলা থেকে কিনলেন, তখন কিন্তু স্টলকে শুধু আপনি মূল্য পরিশোধ করলেন না অথবা লেখক বা পাঠকই শুধু লাভবান হলো না। বাণিজ্যিক ভাবে বিশাল জনগোষ্ঠী এই বইমেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

আতিকুর রহমান, বাতিঘর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একটি বই বাঁধাই কারখানা রয়েছে তার। সেখানে কাজ করে চার-পাঁচজন। প্রতিটি বই বাঁধাইতে ১৬ টাকা নেন। সেই ১৬ টাকার মধ্যে থাকে চারজন ছেলের বেতন ও কারখানার ভাড়া-বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি। যেহেতু তিনি নিজেও একটি প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাই সেখানের বইগুলোকে প্রাধান্য দিতে হয়। বাতিঘর প্রকাশনীর দোকান বাংলাবাজারের একটি মার্কেটের তৃতীয় তলায়। তাই বাঁধাই শেষে তৃতীয় তলায় ওঠানোর জন্য দরকার হয় বোঝা বহনকারী কোন শ্রমিকের। প্রতিবার প্রায় অর্ধ শতাধিক বই নিয়ে তিনতলায় উঠতে সেসব শ্রমিকেরা সাধারণত পায়, ২০ থেকে ৩০ টাকা। এমনই বোঝা বহনকারী শ্রমিকদের একজন রফিক মিয়া। তিনি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে কাজের খোঁজে ঢাকায়। তার তিনটি মেয়ে, স্ত্রী ও বয়োবৃদ্ধ মা থাকেন গ্রামে। পরিবারের দায়িত্ব তার। জীবিকা নির্ভর করে বই মার্কেটের কয়েকটি ভবনের উপরতলায় ঠিক কতগুলো বই উঠছে তার উপর। প্রতিদিন সকালবেলা টুকরি নিয়ে আসেন বাংলাবাজার। পরিচিত প্রকাশনী তাকে ডাকলে বই নিয়ে উপরে দিয়ে আসেন। পুরো বছরের আয়ের চেয়ে বেশি আয় করেন বইমেলা থেকে। রফিক মিয়াকে 'মুদ্রিত বই যদি বন্ধ হয়ে যায়' ধরণের আশঙ্কার কথা বলতে তিনি জানান, 'তিন মাইয়াসহ মইরা যাওন ছাড়া উপায় নাই'। প্রিয় পাঠক, ভুলে গেলে চলবে না, অমর একুশে বইমেলা কিন্তু শুধু পাঠকদের নয়। এই রফিক মিয়ার জন্যও বইমেলা। 

সে বিষয় ভাবলে, বইমেলা আমাদের কী দিয়ে যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেমনিভাবে, বইমেলার স্টলগুলোতে একমাসের জন্য খণ্ডকালীন চাকরি নেয়া ছেলেমেয়েরা এই টাকা দিয়ে হয়তো কেউ কেউ পরিশোধ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি। কেউ কেউ আবার নতুন একটা ফোন কেনার জন্য খুঁজেছেন স্টলে বিক্রয়কর্মীদের চাকরি। তারা কাজ পেয়েছেন, আনন্দের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং বইমেলা শেষে অপেক্ষা করছেন কাঙ্ক্ষিত সেই 'টাকা'। কত সহস্র মানুষের স্বপ্ন এই বইমেলাকে ঘিরে, তা কি গোনা যায়? তারপরেও কি প্রশ্ন করা যায়, বইমেলা কী দিয়ে যায়? সাহিত্য সংস্কৃতি বিকাশে বইমেলার ভূমিকা যে অসামান্য তা তো দেখা যায় না।

অমর একুশে বইমেলা আমাদের কী দিলো? এই প্রশ্নটা তোলা রইলো সেসব মানুষদের জন্য, যারা ভাবেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বই আর থাকবে না!

Comments