বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চায় চীন

ন্যাশনাল কংগ্রেসে জাতীয় সঙ্গীতে সুর মেলাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: রয়টার্স
ন্যাশনাল কংগ্রেসে জাতীয় সঙ্গীতে সুর মেলাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: রয়টার্স

ইরান ও সৌদি আরবের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের পর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে চীনকে আরও বড় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

আজ সোমবার বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার সৌদি আরব ও ইরানের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে চীন। অনেক বিশ্লেষক একে চীনের জন্য বড় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন।

২০১২ সালে চীনের শাসনভার নেওয়ার পর থেকে শি জিনপিং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে কথা বলে এসেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও অন্যান্য সংস্থার নীতিমালায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে বলছেন, এ সংস্থাগুলো উন্নয়নশীল দেশের চাহিদার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

তিনি বলেন, চীনের উচিৎ 'বৈশ্বিক সুশাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও গঠনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা' এবং 'বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের' প্রচারণা করা।

'এতে বিশ্বে ইতিবাচক শক্তি যোগ হবে এবং শান্তি ও উন্নয়ন আসবে', যোগ করেন শি।

শুক্রবার টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিবাচিত হন চীনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শি জিনপিং। এছাড়াও, অক্টোবরে তিনি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৫ বছরের মেয়াদে পুনর্নিবাচিত হন।

চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস রোববার শির পছন্দের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অন্যান্য নেতার নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ১০ বছর পর পর এই প্রক্রিয়া চালানো হয়।

২০২২ এর শুরুতে শির সরকার সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করে, যার ফলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে চীন নৌবাহিনীর জাহাজ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। এ উদ্যোগে নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

শি সোমবার প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং আরও বেশি পরিমাণে আত্মনির্ভর হওয়ার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি চীনের জাতীয় পুনর্জীবন লাভের বিষয়টি বারবার উল্লেখ করেন এবং চীনকে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

তিনি দাবি করেন, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে চীন ১টি 'আধা-ঔপনিবেশিক, আধা-জমিদার শাসিত দেশ ছিল, যাকে বিদেশী রাষ্ট্র খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারতো'।

শি বলেন, 'জাতি হিসেবে আমরা অবশেষে সব ধরনের লজ্জাজনক বিষয় থেকে মুক্তি পেয়েছি এবং চীনের মানুষ এখন তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে তুলে'।

'রাষ্ট্র হিসেবে চীন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, ধনী হয়েছে এবং আরও বলিষ্ঠ হচ্ছে', যোগ করেন শি।

শি একইসঙ্গে দেশকে 'একীভূতকরণের লক্ষ্যে অবিচল থাকার' কথা জানান, যা স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রতি ইঙ্গিত করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago