তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন স্পিকারের বৈঠক, চীনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি (বাঁয়ে) ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েন (ডানে)। ছবি উৎস: রয়টার্স
মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি (বাঁয়ে) ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েন (ডানে)। ছবি উৎস: রয়টার্স

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে 'অতীতের বিপর্যয়কর ভুলের পুনরাবৃত্তি' না করতে সতর্ক করে দিয়ে চীন বলেছে, এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে না, বরং শত্রুর বিরুদ্ধে চীনের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতা ম্যাকার্থি দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পর সবচেয়ে শীর্ষ নেতা। তিনি আগামী বুধবার সাইয়ের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করলেও, চীনের একে নিজ দেশের অংশ মনে করে।

এই লক্ষ্য অর্জনে শক্তি প্রয়োগেও পিছপা হবে না বলে বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।

গত বছর ম্যাকার্থির পূর্বসূরি ও তৎকালীন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপে গিয়ে সাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালা ও বেলিজ সফর শেষে তাইপে ফেরার পথে লস অ্যাঞ্জেলসে 'যাত্রা বিরতি' নেবেন সাই।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, এ ধরনের যাত্রা বিরতি খুবই স্বাভাবিক এবং এ ক্ষেত্রে চীনের মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর কোনো কারণ নেই।

লস অ্যাঞ্জেলসে চীনের কনস্যুলেট জানিয়েছে, 'এ ঘটনাকে যাত্রা বিরতি বলা "মিথ্যে"। সাই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নিয়ে "রাজনৈতিক ক্ষমতা" দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।'

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ম্যাকার্থির সঙ্গে সাইয়ের বৈঠকের প্রকৃতি যেমনই হোক না কেন, এই উদ্যোগ চীনের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এটি তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের রাজনৈতিক কাঠামো প্রভাবিত হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, 'এটি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতার সঙ্গে মানানসই নয় এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের স্বার্থ পরিপন্থি।'

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ম্যাকার্থি তার পূর্বসূরির ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না এবং 'তাইওয়ান কার্ড' খেলার ওপর জোর দিচ্ছেন।

'তিনি সন্দেহাতীতভাবে আগের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবেন। এতে একটি অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে চীনের মানুষের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও জাতীয় একাত্মবোধের প্রতি সমর্থন আরও বলিষ্ঠ হবে।'

আজ বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চীন ঘটনাপ্রবাহের দিকে গভীর নজর রাখছে। প্রাণপণে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সুরক্ষা দেবে।

তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

 

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

8h ago