ভারত

উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার নিয়ে ভারতের মন্তব্য

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনের আচরণের বিরুদ্ধে গতকালের ভোটাভুটিতে বিরত ছিল ভারত। কিন্তু, তার একদিন পর আজ শুক্রবার ভারত বলেছে- জিনজিয়াংয়ের জনগণের মানবাধিকারকে সম্মান করা উচিত।
চীনের বিরুদ্ধে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে উইঘুর বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ। রয়টার্স ফাইল ফটো

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনের আচরণের বিরুদ্ধে গতকালের ভোটাভুটিতে বিরত ছিল ভারত। কিন্তু, তার একদিন পর আজ শুক্রবার ভারত বলেছে- জিনজিয়াংয়ের জনগণের মানবাধিকারকে সম্মান করা উচিত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে বলছে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন- ভারত সব ধরনের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। ভারতের ভোট তার দীর্ঘদিনের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ভারত এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সংলাপের পক্ষপাতী।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ওএইচসিএইচআরের মানবাধিকার উদ্বেগ মূল্যায়নের বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। জিনজিয়াংয়ে উইঘুর অঞ্চলের জনগণের মানবাধিকারকে সম্মান ও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট পক্ষ বস্তুনিষ্ঠ ও যথাযথভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।

জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর জনগোষ্ঠীর ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার চীনের বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকা ১১টি দেশের মধ্যে ছিল ভারত। ইউএনএইচআরসিতে ১৭ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও চীন, পাকিস্তান ও নেপালসহ ১৯ সদস্য এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ইউক্রেনসহ ১১ দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

২০১৭ সাল থেকে, উইঘুর, কাজাখ এবং জিনজিয়াংয়ে অন্যান্য প্রধানত মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অরিন্দম বাগচী বলেন- ভারত ও চীনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তার বক্তব্য বেইজিংয়ের দূতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল, যিনি দাবি করেছিলেন- প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

Comments