রাহুল গান্ধীর বাড়িতে পুলিশ

কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: কংগ্রেসের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: কংগ্রেসের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

ভারতের কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধীর নয়াদিল্লির বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে।

আজ রোববার সকালে পুলিশ তার বাড়িতে আসে।

সম্প্রতি 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় অংশ নেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, 'নারীরা এখনো যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।' এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) সাগর প্রীত হুদার নেতৃত্বাধীন একটি দল রাহুল গান্ধীর ১২, তুঘলক লেনের বাসায় পৌঁছেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টকে আমলে নিয়ে পুলিশ গত ১৬ মার্চ কংগ্রেস নেতার কাছে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে 'যেসব নারী তার কাছে যৌন হয়রানির বিষয়ে জানিয়েছেন', তাদের বিস্তারিত তথ্য জানানোর আহ্বান জানায়।

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও রাহুল গান্ধীর বাড়িতে পৌঁছেছেন, যাদের মধ্যে আছেন রাজস্থানের মূখ্যমন্ত্রী আশোক গেহলত, রাজ্যসভার এমপি অভিশেক মানু সিংভি ও জয়রাম রমেশ।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাহুল গান্ধী জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, 'আমি শুনেছি, নারীদের বিরুদ্ধে এখনো যৌন সহিংসতা অব্যাহত আছে।'

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: রয়টার্স
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: রয়টার্স

তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া 'ভারত জোড়ো' যাত্রা শেষ হয় শ্রীনগরে।

কর্মকর্তারা আরও জানান, পুলিশ রাহুলের কাছে ভুক্তভোগীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে, যাতে তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া যায়।

কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্ররা ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা সুয়োমোটোর ভিত্তিতে এ ধরনের নোটিশ জারি করার কোন আইনি ভিত্তি নেই। তাদের মতে, এটি কংগ্রেসকে হয়রানি করার জন্য দিল্লি পুলিশের নতুন অস্ত্র। তারা বলেন, 'এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া যেতে পারে। তবে তারা তাকে (রাহুল গান্ধী) ভুক্তভোগীদের নাম প্রকাশ করতে বাধ্য করতে পারে না। এ ধরনের উদ্যোগ ক্ষতিকর ও ভুয়া'।

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago