মহারাষ্ট্র ভূষণ খেতাব অনুষ্ঠানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমাজকর্মী আপ্পাসাহেব ধর্মাধিকারির হাতে এই পুরষ্কারটি তুলে দেন। সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার মাঝে নাভি মুম্বাই এলাকাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলে। আপ্পাসাহেবের হাজারো ভক্ত অনুসারীর পাশাপাশি শিন্ডে ও ফডনবিশও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ভারতের মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ১১ জন হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ১১ জন হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ১১ জন হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন।

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল রোববার একটি উন্মুক্ত স্থানে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমাজকর্মী আপ্পাসাহেব ধর্মাধিকারির হাতে এই পুরষ্কারটি তুলে দেন। সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার মাঝে নাভি মুম্বাই এলাকাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলে। আপ্পাসাহেবের হাজারো ভক্ত অনুসারীর পাশাপাশি শিন্ডে ও ফডনবিশও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারীদের বসার জন্য ব্যবস্থা রাখা হলেও তাদের মাথার ওপর কোনো ধরনের আচ্ছাদনের বা ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

শিন্ডে বিষয়টিকে 'দুর্ভাগ্যজনক'বলে অভিহিত করেন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেন।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ইতোমধ্যে একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, 'ডাক্তারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ ৭-৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ২৪ জনের চিকিৎসা চলছে। সানস্ট্রোকের কারণে এটা হচ্ছে। প্রায় ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৪ জন এখনো এখানে আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।'

উপমূখ্যমন্ত্রী ফডনবিশ এক টুইটার বার্তায় জানান, সরকার হিটস্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে পড়াদের চিকিৎসার খরচ দেবে।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) আভাস দিয়েছে, পরবর্তী পাঁচ দিনে ভারতের কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

চলতি বছর ভারতে ফেব্রুয়ারি মাসটি ১৯০১ সালের পর উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি মাস ছিল। বৃষ্টি হওয়ার কারণে মার্চ মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল।

Comments