পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় কারখানায় গ্যাস লিকেজে ১১ জনের মৃত্যু

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ আছেন। পুরুষদের মধ্যে ১০ ও ১৩ বছর বয়সী ২ বালকও আছে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছেন এনডিআরএফের সদস্যরা। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছেন এনডিআরএফের সদস্যরা। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানা জেলার গিয়াসপুরা এলাকার একটি কারখানায় গ্যাস লিকেজের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়া আরও ৪ ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ব্রিগেডের ১টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ৫০ সদস্যের দলটিও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ আছেন। পুরুষদের মধ্যে ১০ ও ১৩ বছর বয়সী ২ বালকও আছে।

লুধিয়ানার উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতী তিওয়ানা বলেন, 'নিঃসন্দেহে, এটি গ্যাস লিকেজের ঘটনা। এনডিআরএফের একটি দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তারা আটকে পড়াদের উদ্ধারে কার্যক্রম চালাবে।'

এ মুহূর্তে কারখানা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সবাইকে বের করে আনার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, 'গ্যাসের উৎস ও প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। এনডিআরএফ এ বিষয়টির তদন্ত করবে।'

লুধিয়ানার সহকারী কমিশনার সুরভি মালিক বলেন, 'এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস থেকে কোনো ধরনের বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খুব সম্ভবত ম্যানহোলের ভেতর মিথেনের সঙ্গে অন্য কোনো রাসায়নিক উপকরণের বিক্রিয়া থেকে এটি হয়েছে। তবে সবকিছুই যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এনডিআরএফ নমুনা সংগ্রহ করছে।'

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জানান, এ দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। তিনি পাঞ্জাবি ভাষায় টুইট করে বলেন, 'লুধিয়ানার গিয়াসপুরা এলাকার কারখানায় গ্যাস লিকের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। পুলিশ, সরকার ও এনডিআরএফের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। তারা সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago