দিল্লির তিহার কারাগারে প্রতিপক্ষদের হামলায় গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়া নিহত

কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, আজ ভোরে উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মানকে রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গ্যাংস্টার যোগেশ তুন্দা ও তার সহযোগীরা।
নিহত গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়া। ফাইল ছবি: দ্য স্টেটসম্যান
নিহত গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়া। ফাইল ছবি: দ্য স্টেটসম্যান

দিল্লির তিহার কারাগারে গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়াকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, আজ ভোরে উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মানকে রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গ্যাংস্টার যোগেশ তুন্দা ও তার সহযোগীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পর তিল্লু তাজপুরিয়াকে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

হামলায় অপর কয়েদি রোহিত আহত হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগ মতে—যোগেশ তুন্দা, দীপক তিতার, রিয়াজ খান ও রাজেশ কারাগারের দ্বিতীয় তলায় তাদের ওয়ার্ডের লোহার গ্রিল ভেঙে ফেলেন। তিল্লুর প্রতিপক্ষ 'গোগি গ্যাং'র ৪ সদস্য এরপর দ্বিতীয় তলা থেকে বিছানার চাদর পেঁচিয়ে তৈরি করা দড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসেন।

এরপর তারা নিচ তলার ওয়ার্ডে তিল্লুর ওপর লোহার রডসহ হামলা চালান।

২০২১ সালে দিল্লির রোহিণী আদালতে গোলাগুলির ঘটনায় গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগি নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন তিল্লু।

২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিল্লু গ্যাংয়ের ২ সদস্য আইনজীবীর বেশে দিল্লির রোহিণী আদালতে ঢুকে জিতেন্দ্র গোগিকে গুলি করে হত্যা করেন। সেসময় ২ আততায়ী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যান।

এ ঘটনার নেপথ্যে ছিল জিতেন্দ্র গোগি ও তিল্লুর গ্যাংয়ের বহু বছরের দ্বন্দ্ব।

পুলিশের তথ্য মতে, তিল্লু তাজপুরিয়া ফোন কলের মাধ্যমে জিতেন্দ্র গোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এটি গত ১ মাসের মধ্যে তিহার কারাগারে সহিংসতা ও গ্যাং দ্বন্দ্বের দ্বিতীয় ঘটনা। গত মাসে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণুইর ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রিন্স তেওয়াতিয়াকে কারাগারে প্রতিপক্ষ গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা করেন।

 

Comments