মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, নিখোঁজ অন্তত ৫০

মহারাষ্ট্রের ইরশালওয়াদি গ্রামে ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছেন। ছবি: এএফপি
মহারাষ্ট্রের ইরশালওয়াদি গ্রামে ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছেন। ছবি: এএফপি

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে বড় আকারে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হয়েছে। এখনো অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।

আজ রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার তুমুল বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। মুম্বাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পর্বত ও জঙ্গলে ঘেরা রায়গড় জেলার ইরশালওয়াদি গ্রাম এই ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়।

প্রায় ৪ দিন ধরে মাটি ও ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে মরদেহ খুঁড়ে বের করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

আজ রোববার রায়গড়ের কর্মকর্তা যোগেশ মাহাসে এএফপিকে বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। আরও ৫০-৬০ ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন। উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে গিয়ে আমরা বেশ কয়েক ধরনের বাধার মুখে পড়েছি।'

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিকটতম সড়কের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

'ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য ভারী উপকরণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। আমরা শুধু ছোট যন্ত্র দিয়ে কাজ করছি এবং বেশিরভাগ কাজ কায়িক শ্রমের মাধ্যমে করা হচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

মহারাষ্ট্রের ইরশালওয়াদি গ্রামে ভূমিধসের পর উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। ছবি: এএফপি
মহারাষ্ট্রের ইরশালওয়াদি গ্রামে ভূমিধসের পর উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। ছবি: এএফপি

তিনি আরও বলেন, 'ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।'

জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, তিনি উদ্ধার কার্যক্রমের চতুর্থ দিনে এসে নতুন করে আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা করছেন না।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন।

এ বছরের জুনে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে ভারতের বিভিন্ন অংশে তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্যা ও ভূমিধসে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও, ভারতে বাঁধ, বন উজাড় ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago