ভারতে কৃষক রোডমার্চে আবারও পুলিশের টিয়ার শেল

কৃষকরা ক্রেন ও মাটি খোঁড়ার এক্সকেভেটর নিয়ে রোডমার্চে যোগ দিয়েছে। তাদের দাবি, উৎপাদিত সব পণ্যের বিপরীতে ন্যুনতম মূল্য সুবিধা (এমএসপি) দিতে হবে।
কৃষকদের রোডমার্চে পুলিশের টিয়ার শেল। ছবি: রয়টার্স
কৃষকদের রোডমার্চে পুলিশের টিয়ার শেল। ছবি: রয়টার্স

সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য কয়েকদিন 'দিল্লি চল' রোডমার্চ স্থগিত রেখেছিল ভারতের কৃষকরা। সে আলোচনা ব্যর্থ হলে আজ রোডমার্চ শুরু করে কৃষকরা। সেসময় পুলিশ  বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস শেল ছুড়েছে।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

কৃষকরা ক্রেন ও মাটি খোঁড়ার এক্সকেভেটর নিয়ে রোডমার্চে যোগ দিয়েছে। তাদের দাবি, উৎপাদিত সব পণ্যের বিপরীতে ন্যুনতম মূল্য সুবিধা (এমএসপি) দিতে হবে।

টিয়ার গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে হাজারো কৃষক আশেপাশের ফসলের ক্ষেতগুলোতে আশ্রয় নেন। এ সময় বেশ কয়েকজনের মুখে মেডিকেল মাস্ক দেখা যায়।

নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দুরের একটি জায়গায় তারা অবস্থান করছিলেন।

রোডমার্চে পুলিশের টিয়ার গ্যাস। ছবি: রয়টার্স
রোডমার্চে পুলিশের টিয়ার গ্যাস। ছবি: রয়টার্স

এমন সময়য় পুলিশের এই উদ্যোগ এলো যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের দাবি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা কৃষকদের প্রতি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার নিরসনের অনুরোধ জানিয়েছেন।  

সোমবার কৃষকদের সংগঠনগুলো সরকারের দেওয়া প্রস্তাব নাকচ করে এবং বুধবার থেকে রোডমার্চ আবার চালুর ঘোষণা দেয়। পাঁচ বছর শুধু ভুট্টা, তুলা ও ডালের মতো কিছু পণ্যে এমএসপি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সরকার।

পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকরা বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টা সময় কর্তৃপক্ষের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে রোডমার্চ করতে উদ্যত হয়।

কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল বলেন, 'আমাদেরকে থামানোর জন্য এ ধরনের বিশাল আকারের ব্যারিকেড বসানো একেবারেই উচিত নয়।'

'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লি পর্যন্ত রোডমার্চ করতে চাই। যদি তারা এটা না চান, তাহলে আমাদের দাবি মেনে নিতে পারেন', যোগ করেন তিনি।

এ সময় রায়ট পুলিশ মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নেয়।

রোডমার্চে ট্রাক্টর নিয়ে এসেছেন অনেক কৃষক। ছবি: রয়টার্স
রোডমার্চে ট্রাক্টর নিয়ে এসেছেন অনেক কৃষক। ছবি: রয়টার্স

মঙ্গলবার গভীর রাতে হরিয়ানার পুলিশ প্রধান কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে আসা ভারী উপকরণ ছিনিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন যাতে এসবের ব্যবহারে কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলতে না পারে।

সীমান্তের শম্ভু পয়েন্টে বুধবার ১০ হাজার মানুষ জমায়েত হন। তাদের সঙ্গে ছিল এক হাজার ২০০ ট্রাক্টর ও ওয়াগন।

দুই বছর আগে একই ধরনের এক বিক্ষোভে কৃষকরা নয়াদিল্লি সীমান্তে দুই মাস অবস্থান করেছিল।

Comments

The Daily Star  | English
food crisis

Thailand trip a step forward in efforts to protect economic interests: PM

Prime Minister Sheikh Hasina declared her recent six-day trip to Thailand as a landmark success, aimed at safeguarding Bangladesh's economic interests and elevating its regional presence

15m ago