কাশ্মীরে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের হামলায় বিজেপি নেতা নিহত

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার হুরপারা গ্রামে বিজেপির স্থানীয় নেতা আইজাজ আহমেদের ওপর শনিবার সন্ধ্যায় গুলি চালানো হলে তিনি আহত হন। পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত বিজেপি নেতা আইজাজ আহমাদ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত বিজেপি নেতা আইজাজ আহমাদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতাকে বিদ্রোহীরা হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

আজ রোববার এই বিতর্কিত অঞ্চলের সহিংস হামলার ঘটনাটি জানিয়েছে এএফপি।

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার হুরপারা গ্রামে বিজেপির স্থানীয় নেতা আইজাজ আহমেদের ওপর শনিবার সন্ধ্যায় গুলি চালানো হলে তিনি নিহত হন।

কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরে চলমান লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে।

কাশ্মীরে বিজেপির স্থানীয় কার্যালয় আইজাজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দলটি এই হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আয়োজনের কথা জানিয়েছে।

পৃথক এক হামলায় পার্শ্ববর্তী অনন্তনাগ এলাকায় জয়পুর থেকে বেড়াতে আসা এক দম্পতি আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের ধারণা, এই হামলার পেছনেও বিদ্রোহীরা দায়ী।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর কাশ্মীরের এক অংশ ভারত ও অপর অংশ পাকিস্তানের অধীনে রয়েছে। হিমালয় পাহাড়ের কাছে অবস্থিত এ অঞ্চলের ওপর উভয় দেশই একক দাবি জানিয়ে এসেছে।

বিদ্রোহীরা বেশ কয়েক দশক ধরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। বিদ্রোহীরা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হতে অথবা স্বাধীন দেশের মর্যাদা পেতে চায়।

বিদ্রোহীদের মদদ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায় দিয়েছে ভারত। তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে ইসলামাবাদ।

এই সংঘাতে লাখো বেসামরিক মানুষ, সেনা ও বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।

২০১৯ সালে মোদি সরকার এ অঞ্চলের সীমিত সার্বভৌমত্ব খর্ব করে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিয়ে আসার পর সহিংসতার মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে।

তবে গত মাসে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরুর পর কয়েক দফা সহিংসতার কথা জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এ মাসের শুরুতে সামরিক গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায় সন্দেহভাজন সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এতে বিমানবাহিনীর এক সদস্য নিহত ও চার জন আহত হন। 

 

Comments