শনিবার নয়, মোদির শপথ রোববার

নির্বাচনে জয়লাভের পর বিজেপি কার্যালয়ে মোদি। ছবি: এএফপি
নির্বাচনে জয়লাভের পর বিজেপি কার্যালয়ে মোদি। ছবি: এএফপি

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এর আগে শনিবারের কথা বলা হলেও শপথ গ্রহণের সময় হিসেবে রোববার সন্ধ্যা চূড়ান্ত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

বুধবার এনডিএ জোটের প্রধান হিসেবে মোদিকে বেছে নেওয়া হয়। ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় নেতা হিসেবে তিনি তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর পদ পেতে যাচ্ছেন। এর আগে শুধু জওহরলাল নেহেরু তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকজন নেতাকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রানিল বিক্রমাসিংহে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল 'প্রাচান্দা', ভুটানের শেরিং তোবগে ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রাভিন্দ জুগনাথও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে, যা ২০১৯ এর ৩০৩ আসনের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। গতবারের নির্বাচনে এনডিএ জোট ৩৫২ আসন পেলেও এবার ২৯৩ আসন পেয়েছে।

ভোট গণনার আগে ধ্যানে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি
ভোট গণনার আগে ধ্যানে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

সরকার গঠনের জন্য ন্যুনতম ২৭২ আসন প্রয়োজন ছিল, যা বিজেপি এককভাবে অর্জনে ব্যর্থ হলেও এনডিএ জোটের মাধ্যমে তা জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে।

২০১৪ এর পর নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার দল বিজেপি। এবার সরকার গঠনের জন্য মোদিকে মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

বিজেপির সবচেয়ে বড় দুই মিত্র চন্দ্রবাবু নাইডু (টিডিএম) ও নীতীশ কুমার (জেডিইউ) যথাক্রমে ১৬ ও ১২ আসন পেয়েছে।

তুলনামূলকভাবে কম আসন পেলেও তাদের সমর্থন মোদির জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। যার ফলে ইতোমধ্যে এই দুই নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক পদ ও স্পিকারের পদ পেতে মোদির সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করেছেন।

নাইডু ও নীতীশ, উভয়েরই আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার ইতিহাস রয়েছে।

টিডিপি লোকসভার স্পিকারের পদ চেয়েছে। তবে সূত্ররা জানিয়েছেন, বিজেপি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দলটিকে ডেপুটি স্পিকারের পদ দিতে চাইছে।

স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও পররাষ্ট্রনীতি—এই চার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বিজেপির দখলে থাকবে বলেই মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges young people to engage more in politics

Yunus made the call when a group of young political activists from different political parties of Norway called on him at the state guest house Jamuna today

23m ago