স্পিকার, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পদ পেতে বিজেপির সঙ্গে নাইডু-নীতীশের দরকষাকষি

নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নরেন্দ্র মোদি--এনডিএ জোটের তিন মূল নেতা। ছবি: কোলাজ/সংগৃহীত
নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নরেন্দ্র মোদি--এনডিএ জোটের তিন মূল নেতা। ছবি: কোলাজ/সংগৃহীত

লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ফলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের দুই প্রধান শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে দরকষাকষি শুরু করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি (তেলেগু দেশম পার্টি) লোকসভার ১৬ আসন জিতেছে যার সবগুলোই অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে। এই রাজ্যের ২৩ আসনের মধ্যে ১৬টিই জিতে নেয় নাইডুর দল। সংশ্লিষ্ট সূত্ররা জানিয়েছেন, নাইডুর দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাঁচটি পদ চেয়েছে, যার মধ্যে আছে সড়ক ও জনপথ, পঞ্চায়েতি রাজ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের পদ। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা,  অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ও লোকসভার স্পিকারের পদের দাবি জানিয়েছেন নাইডু।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিজেপির নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের জন্য অন্তত চার মন্ত্রণালয়, রাজ্যের আগাম বিধানসভা নির্বাচন, রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের বড় তহবিল ও বিহারের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার মতো বিষয় নিয়ে দরকষাকষি করছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

রেলমন্ত্রীর পদ নিয়ে দলটি বেশ আগ্রহী বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেডিইউর একজন নেতা বলেছেন, 'জেডিইউ এখন দরকষাকষির জন্য ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা অন্তত চারটি মন্ত্রণালয় পাওয়ার আশা করছি। এ ছাড়া আরও একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ চাওয়া হতে পারে।'

জেডিইউর এই নেতা বলেন, রেলওয়ে, গ্রাম উন্নয়ন এবং পানি সম্পদের মতো মন্ত্রণালয়গুলোর বিষয়ে তারা আগ্রহী। কারণ, তারা বিহারে অবকাঠামো উন্নয়ন এগিয়ে নিতে চান। এই নেতার মতে, তারা এমন সব মন্ত্রণালয়গুলো চান, যেগুলো তাদের হাতে থাকলে বিহারের দ্রুত উন্নয়ন হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

4h ago