পশ্চিমবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৫

আসামের শিলচর থেকে কলকাতার শিয়ালদহ যাচ্ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এ সময় পেছন থেকে মালবাহী ট্রেনটি এসে এই ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। নিউ জলপাইগুড়ি লাইনের রাঙ্গাপানি স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। ছবি: ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট/সংগৃহীত
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। ছবি: ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট/সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় একটি মালবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও আরও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। 

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি ও দ্য ইন্ডিয়ান টাইমস।

আসামের শিলচর থেকে কলকাতার শিয়ালদহ যাচ্ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এ সময় পেছন থেকে মালবাহী ট্রেনটি এসে এই ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। নিউ জলপাইগুড়ি লাইনের রাঙ্গাপানি স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

দার্জিলিং জেলার কুরসেওং থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, 'কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালকসহ পাঁচ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আরও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।'

তিনি জানান, পুলিশ আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘটনাস্থলে ডাক্তার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলের সদস্যরা ছুটে গেছেন।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, 'দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এলাকায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমি মর্মাহত। বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া গেলেও এটুকু জানা গেছে যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে একটি মালবাহী ট্রেন আঘাত করেছে।'

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। ছবি: ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট/সংগৃহীত
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। ছবি: ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট/সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে শিলচর ও আগরতলার সংযোগ স্থাপন করেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি প্রতিদিনই চলে। 

ভারতের সরকারি গণমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শিলিগুড়িতে সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে উদ্ধার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণে কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটে দূরপাল্লার রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

দার্জিলিং যাত্রার জন্য এই ট্রেন পর্যটকদের কাছে এই ট্রেন বেশ জনপ্রিয়। এমন সময় এই দুর্ঘটনা ঘটল যখন কলকাতা ও দক্ষিণের প্রতিবেশী শহরগুলো থেকে মানুষ প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে বাঁচার জন্য গণহারে দার্জিলিং যাচ্ছিলেন। 

প্রাথমিকভাবে মালগাড়িকে দেওয়া সংকেত অনুযায়ী সময়মতো ট্রেন থামানোর উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

 

Comments