চীন-উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করছে জাপান

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় এবং চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে জাপান।

সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান সোমবার জানায়, কিউশু দ্বীপে স্থাপন করা হতে পারে এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা উত্তর কোরিয়া ও চীনের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

আগামী বছর দুটি সামরিক ঘাঁটিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে জাপানের।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাপানের 'প্রতিরোধমূলক প্রতি-আক্রমণ সক্ষমতা' বাড়াবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের মিত্ররাষ্ট্র হয়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের একটি নিরাপত্তা চুক্তি আছে। ১৯৫১ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো আক্রমণের মুখে জাপানের প্রতিরক্ষায় থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির অংশ হিসেবে দেশটিতে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু সম্প্রতি এই চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ৬ মার্চ এক বক্তব্যে তিনি বলেন, 'জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। কিন্তু তাদের সঙ্গে একটি অদ্ভুত চুক্তি আছে আমাদের। (সামরিকভাবে) আমরা তাদের রক্ষা করব, কিন্তু আমাদের রক্ষা করতে হবে না তাদের।'

'অথচ অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কাছ থেকে বিশাল সুবিধা নিচ্ছে জাপান। আমি জানতে চাই, এসব চুক্তি কারা করে?'

জাপানের সংবিধানের নবম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশটির সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতাও সীমিত। যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশেই এই অনুচ্ছেদ প্রণয়ন করেছিল দেশটি।

কিন্তু কানাডা-ডেনমার্কসহ ন্যাটো সদস্য ও মিত্র রাষ্ট্রদের নিয়ে ট্রাম্পের করা সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোর পর জাপানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এতে মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের চুক্তিগুলোর প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন সম্মান দেখাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন টোকিওর টেম্পল ইউনিভার্সিটির রবার্ট দুযারিক।

তিনি বলেন, 'যারা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, অন্তত তাদের কাছে স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটের অবস্থা এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে।'

'এখন যদি চীন জাপানের ওপর আক্রমণ চালায়, তাহলে ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র আদৌ কিছু করবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

13h ago