‘ব্রিজ ভাঙতে গিয়া এরা মার্কেট জ্বালাই ফেলাইছে’

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়ী করছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। তাদের অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেটের সঙ্গে লাগানো ফুট ওভারব্রিজ ভাঙতে গিয়েই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার ব্যবসায়ীরা এই অভিযোগ করেন।

তবে সিটি করপোরেশন বলছে, ফুট ওভারব্রিজ ভাঙার সঙ্গে আগুন লাগার কোনো সম্পর্ক নেই।

নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ফারুক মুন্সি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রিজ ভাঙতে যাইয়া শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগছে। মার্কেটের লগে ফুট ওভারব্রিজের সিঁড়িটা ভাঙছে। সিঁড়ি ভাঙতে গিয়া মার্কেটে আগুন লাগাইছে।'

তিনি আরও বলেন, 'নিচে কাপড়, উপরে কাপড়, সাইডে কাপড়। ওয়েল্ডিংয়ের আগুন মার্কেটে ঢুইকা আগুন লাইগা গেছে। এটা সিটি করপোরেশনের সম্পূর্ণ দোষ। এরা যদি ব্রিজ ভাঙতে না যাইতো, আমাদের নেতা ফরমান মোল্লার কথা হুনতো, আইজকা মার্কেটে আগুন লাগে না। ব্রিজ ভাঙতে গিয়া এরা মার্কেট জ্বালাই ফেলাইছে।'

আরেক ব্যবসায়ী বাবুল মুন্সি অভিযোগ করেন, পরিকল্পনা করে এই আগুন লাগানো হয়েছে। বহুতল ভবন করার জন্য এই আগুন লাগানো হয়েছে।

নিউ সুপার মার্কেটের লিংকিং পার্কের মালিক রবিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোররাত সাড়ে ৪টা বাজে ব্রিজ ভাঙছে। ব্রিজটি মার্কেটের আওতায় ছিল। দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারিনি, সবশেষ।'

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মো. আবু নাসের ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রিজ ভাঙার কাজ ভোররাত ২টার দিকে শুরু হয় এবং ভোর ৫টার দিকে শেষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ ফুট দূরে আগুন লেগেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ব্রিজ ভাঙার কাজে গ্যাস কাটার ব্যবহার করা হয়নি। ডিপিডিসির কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিজটির সিঁড়ির একটি অংশ ভাঙার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাই ব্রিজ ভাঙার সঙ্গে আগুন লাগার সম্পর্ক নেই।'

ঢাকা সিটি করপোরেশনের আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ১ বছর আগে ফুট ওভারব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। তারপরে হকারের পাশাপাশি ক্রেতারা ব্রিজটি ব্যবহার করছিলেন। ঝুঁকি বিবেচনায় গতকাল রাতে সিঁড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ করা হয়। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কিছু দূরে আগুনে ঘটনা ঘটে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi Migrant Workers Deaths Over The Years

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

9h ago