আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ: রমেক হাসপাতালে ভর্তি ২৯, মৃত্যু ২

কনকনে শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দগ্ধ ৪ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগী সংখ্যা ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
আগুন পোহানো
ছবি: সংগৃহীত

কনকনে শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দগ্ধ ৪ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগী সংখ্যা ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ হামিদ পলাশ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল সকাল পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় অগ্নিদগ্ধ ৫ নারী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারো কারো শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এবং কারো শরীরের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

আগুন পোহানো
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ এক রোগী। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী—কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম (৬০),  একই জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার আয়েশা (৬৫), লালমনিরহাটের আদিতমারীর সফুরা বেগম (৫০), দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বুললী আক্তার (৩০) ও নীলফামারীর রহিমা বেগম (৬২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর মাসে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ৩৪ জন বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বাসিন্দা আফরোজা (৩৭) ও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নছিমন বেওয়ার (৬৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এ ছাড়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Comments