দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড

স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়ি যাওয়া হলো না মনিরের

চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে নিজের কাভার্ডভ্যানটি সহকারীকে চালাতে দিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য কসকা নামক স্থানে নেমে পড়েন মনির হোসেন (৪৫)। পরে অন্য একটি কাভার্ডভ্যান এসে তাকে চাপা দিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে নিজের কাভার্ডভ্যানটি সহকারীকে চালাতে দিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য কসকা নামক স্থানে নেমে পড়েন মনির হোসেন (৪৫)। পরে অন্য একটি কাভার্ডভ্যান এসে তাকে চাপা দিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল মনিরের।

মনির হোসেনের শ্বশুর কবির হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, মনিরের শ্বশুর বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের গুয়ালিয়া গ্রামে। কাভার্ডভ্যান নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে নিজের গাড়িটি সহকারীকে চালাতে দিয়ে মনির কসকা নামক স্থানে নেমে পড়েন। এর আগে স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে যাবেন বলে ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি। মনিরের ২টি ছেলে সন্তান আছে। স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে দেখা করে অন্য গাড়িতে চট্টগ্রাম গিয়ে নিজের কাভার্ডভ্যান বুঝে নেওয়ার কথা ছিল মনিরের।

মহুরীগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের কসকায় গাড়িতে ওঠার জন্য সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মনির। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুলারামপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। এ সময় চট্টগ্রামমূখী অপর একটি সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ডভ্যান তাকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।

রাশেদ খান চৌধুরী জানান, সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে আজ সকালে ফেনীতে অপর সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ চালক মো. শাহ আলম (৩৫) নিহত হয়েছেন। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামের মো. আবদুল বারেকের ছেলে।

ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি পালিয়ে গেছে। পিকআপটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পৃথক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Comments