গুলশানে আগুন: একজনের মৃত্যু, লাইফ সাপোর্টে ১
রাজধানীর গুলশান ২ এলাকার ১২ তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১ জন মারা গেছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত ১ জন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'গুলশানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ঢাকা মেডিকেলে ১ জনকে মৃত অবস্থায় এনেছে।'
মৃত আনোয়ার (৩০) ওই ভবনের ১২ তলার কেয়ারটেকার ছিলেন।
বনানী ক্লিনিকের কাস্টমার কেয়ার ইনচার্জ আশীষ বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গুলশানে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস আমাদের এখানে একজনকে মৃত অবস্থায় এনেছিল। মরদেহ আমাদের ক্লিনিকের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে একজন গুলশানের সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।'
অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে লাইফ সাপোর্টে থাকা রাজীব (৩০) ওই ভবনের ১২ তলায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮ জনকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার সুপারভাইজার নাসির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আরও ৬-৭ জনকে ভর্তি করা হতে পারে।
ভবন থেকে ৪ নারীসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাজাহান সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট কাজ করছে।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ভবনটির ১১ তলা থেকে ৩-৪ জনকে লাফ দিয়ে নিচে পড়তে দেখা গেছে। তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারের আশায় কয়েকজনকে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ক্রেনের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। ভবনটিতে আটকে পড়াদের স্বজনরা ভবনটির নিচে জড়ো হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনটির সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
Comments