গুলশানের ভবনটির ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না: ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় গতকাল রোববার আগুন লাগা ১২ তলা ভবনটির ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
গুলশানে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় গতকাল রোববার আগুন লাগা ১২ তলা ভবনটির ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ সোমবার বিকেলে ভবনটির সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'ভবনটির ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। সেফটি প্ল্যান নেওয়ার কথা থাকলেও, নেওয়া হয়নি। ভবনটি অত্যাধুনিক হলেও, এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে।'

কী ধরনের সমস্যা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সে বিষয়ে পরে জানানো হবে।'

'ভবনটিতে গ্যাসের পয়েন্ট বিদ্যুতের পয়েন্ট, দাহ্য পদার্থ সবকিছু বেশ কাছাকাছি,' যোগ করেন তিনি।

ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো জবাব দেননি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'ফায়ার সার্ভিস ভবন থেকে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। যে দুজন মারা গেছেন, তারা ঝাঁপ দেওয়ার কারণে মারা গেছেন নিজেদের ভুলে।'

উদ্ধারকাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের ল্যাডার (মই) নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না ভবন সংলগ্ন সড়কে। রাস্তায় যানজট ছিল, এ কারণে আমাদের পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েছে। রাস্তাও সরু ছিল।'

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনটির সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত। এতে ২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৮ জন আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ভবনের লিফটে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

গুলশান ও বনানী এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন নেই এবং এ কারণে এসব এলাকায় অগ্নিকাণ্ড হলে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পৌঁছাতে দেরি হয় বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

Comments