গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

‘ভাইরে ফিরায়ে আনেন, মা ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছেন’

বোনের কান্না
ভাই সুমনের মৃত্যুতে ঢাকা মেডিকেলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বোন সোমা। ছবি: মুনতাকিম সাদ/ স্টার

মাত্র ১০ দিন আগে ৪ মাসের ছুটিতে কাতার থেকে দেশে ফিরেছিলেন মো. সুমন (২১)। সুমনের বাসা গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার সংলগ্ন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের জন্য ইফতার আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এ সময় সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রাত ৮টা পর্যন্ত সুমনসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন শতাধিক।

সন্ধ্যায় সুমনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সেখানে সুমনের বড় বোন সোমা আক্তার চিৎকার করে বলছিলেন, 'দয়া করে আমার ভাইরে ফিরায়া দেন। বিয়ে করতে দেশে এসেছিল সে। আমরা গতকাল মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দয়া করে তাকে ফিরায়ে দিন।'

সোমা বলেন, তাদের মা রোজা ছিলেন। তাই মায়ের জন্য সুমন ইফতার আনতে বের হয়েছিলেন।

তাদের আরেক বোন রুমা আক্তার ও ভাই সাফায়েত সুমনের মরদেহ ময়নাতদন্ত না করার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের অনুরোধ করছিলেন।

সোমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আপনারা কি তাকে ফিরায়ে আনতে পারেন। তাকে বাড়ি নিতে হবে। মা ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছেন।'

কাতারে চিকিৎসা সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সুমন। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।

Comments

The Daily Star  | English
NBR Protests

NBR officials again announce pen-down strike

This time, they will observe the strike for three hours beginning at 9 am on June 23

2h ago