গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

বিধ্বস্ত ভবনের ২৪ কলামের ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত

গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনের ২৪ কলামের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাউউকের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মেজর শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজউকের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মেজর শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনের ২৪ কলামের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউকের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মেজর শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

এর আগে, গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিধ্বস্ত ভবনের অবস্থা তদন্ত করে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। 
রাজউক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিঞা জানান, কমিটির সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
পরে বুধবার বিকেলে রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে টেকনিক্যাল কমিটি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বিধ্বস্ত ভবনের বিভিন্ন অংশ এবং এর আশেপাশের ভবন পরিদর্শন করেন।

এসময় মেজর শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর বলেন, 'আমাদের প্রত্যেকটা সংস্থা এখানে ছুটে এসেছে। গতকাল রাজউকের চেয়ারম্যান এসেছিলেন। যেহেতু একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে, তাই এই ভবন কী অবস্থায় আছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভবন সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা যাবে কি না তা জানতে রাজউক কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিতে আমি আহ্বান হিসেবে আছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাদে গিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়েছি। দ্বিতীয় তলার ওপরের দিকে প্রায় ঠিক আছে, কিন্তু নীচে বেসমেন্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কলামগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২৪টা কলাম আছে, তার মধ্যে ৯টা কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রেড বিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আগে ভবনটির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। যে কলামগুলোর সাপোর্ট নষ্ট হয়ে গেছে এবং সেগুলো যে ভার বহন করত তা অন্য কোনো বিমের মাধ্যমে স্থানান্তর করতে হবে। তারপর এই ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা ভেঙে ফেলতে হবে কি না, এসব বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা খুব দ্রুত এটা জানাব।'

Comments