গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

ভবন ধসে যাওয়া ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্ত পিলারে বসছে ‘স্টিল প্রপিং’

ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি পিলার স্থির রাখতে এসব স্টিল প্রপিং বসানো হচ্ছে
গুলিস্তান
মঙ্গলবার সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের পর ভবনটির ২৪টি পিলারের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: আরাফাত রহমান/স্টার

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ধসে যাওয়া ঠেকাতে ভেঙে পড়া পিলারের জায়গায় স্টিল প্রপিং স্থাপনের কাজ শুরু করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

গত মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে গঠিত ৬ সদস্যের কমিটির সদস্য সচিব রাজউকের অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মন্ডল বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

বিস্ফোরণের পর ৭ তলা ওই ভবনের ২৪টি পিলারের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ৯টি পিলার স্থির রাখতে এসব স্টিল প্রপিং বসানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রঙ্গন মন্ডল বলেন, 'আমরা এসব পিলার বসাচ্ছি যেন ভবনটি আর ধসে না পড়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা তদন্তকাজ শেষ করার চেষ্টা করব।'

এর আগে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে রাজউকের তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, শিগগিরই তারা ভবনটি সংস্কারের কাজ শুরু করবেন।

শামসুদ্দিন বলেছিলেন, 'বিস্ফোরণে ভবনের কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভবনের ভার বহন করতে পারছে না। তাই আগে ভবনটির ভারসাম্য ঠিক রাখার কাজ করতে হবে।'

'এরপরই বলা যাবে ভবনটি ভাঙার প্রয়োজন আছে কি না,' যোগ করেন তিনি।

ভবনটি স্থিতিশীল করার পরে এর সামনের সড়কে যান চলাচল পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।

তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভবনটি বেজমেন্টসহ মোট ৮ তলা। বিস্ফোরণে ভবনের নিচতলা ও প্রথম তলার স্ল্যাব ধসে গেছে।'

ভবনটি স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক আনসারী বলেন, 'আমাদের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে থার্ড পার্টি ভবনের বিস্তারিত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট করবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনে ভবনের স্ট্রাকচারের রেট্রোফিটিংয়ের কাজ করা হবে।'

তদন্ত কমিটি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন রাজউকের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা যত দ্রুত সম্ভব নিজস্ব অর্থায়নে ভবনের কলামে প্রপিংয়ের কাজ শেষ করব। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, রেট্রোফিটিং করা হবে কি না।'

Comments