মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন: যাত্রীর মুখে বিভীষিকার বর্ণনা

চাকরিতে যোগ দিতে মাকে নিয়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিলেন সাবরিনা। উঠেছিলেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভোররাতের দিকে ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে এলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মারা যান ৪ জন। মাসহ সাবরিনা সুস্থ থাকলেও ওই ঘটনার বিভীষিকা তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের পুড়ে যাওয়া বগি। ছবি: স্টার

চাকরিতে যোগ দিতে মাকে নিয়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিলেন সাবরিনা। উঠেছিলেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভোররাতের দিকে ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে এলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মারা যান ৪ জন। মাসহ সাবরিনা সুস্থ থাকলেও ওই ঘটনার বিভীষিকা তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাবরিনা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত ১১টায় ট্রেনটি মোহনগঞ্জ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। ভোর ৫টার দিকে আমরা ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই।'

সে সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, 'ট্রেনটি এয়ারপোর্ট স্টেশনে থামে। এরপর তেজগাঁও স্টেশনের কাছাকাছি এসে আবার থেমে যায়। এসময় ট্রেনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা আমাদের দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে যেতে বলেন। আমরা কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানান যে, ট্রেনে আগুন লেগেছে।'

'এ কথা শুনে সবাই হুড়োহুড়ি করে নামতে শুরু করেন। আমরা ট্রেন থেকে ঠিকভাবে নামতে পারব কি না, দিশা পাচ্ছিলাম না। পরে ট্রেনে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের সহায়তায় কোনোভাবে নামতে পারি', বলেন তিনি।

সাবরিনা বলেন, 'ট্রেন থেকে নেমে দেখি নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নেভাতে সিলিন্ডার নিয়ে ছুটছেন। উৎসুক মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। সেজন্য তাদের ট্রেনের কাছে যেতে বেগ পেতে হচ্ছিল।'

'পরে দেখি স্টেশনে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে এক মা কান্না করছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে কোনোভাবে ট্রেন থেকে নামতে পেরেছি, সঙ্গে থাকা সব জিনিসপত্র ট্রেনেই রয়ে গেছে', যোগ করেন তিনি।  

 

Comments