ফালুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি আবারও পেছাল

মোসাদ্দেক আলী | ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

এদিন এই মামলায় জামিনে মুক্ত ২ আসামির আইনজীবী শুনানি মুলতবির আবেদন জানান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২ আসামি আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ফালুকে অভিযোগপত্রে 'পলাতক; দেখানো হয়েছে, কারণ তিনি কোনো আদালত থেকে এ মামলার জন্য জামিন নেননি।

বিএনপি নেতা ফালুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও বিদেশে চলে যাওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে এই মামলায় ফালুকে 'পলাতক' উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালু ও অন্য ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুবাইয়ে ১৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফালু ও অন্য ৩ ব্যবসায়ী আরএকে সিরামিকস ও রাখেন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির এমডি এস এ কে একরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান এবং পরিচালক ম. আমির হোসাইন দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে দেশটি থেকে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন। আদালতের নির্দেশ মতে, এ মামলার সূত্রে দুদক ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ফালুর ৩৪৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago