টিপু-প্রীতি হত্যা: আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন
ঢাকার শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজশিক্ষার্থী প্রীতি হত্যা ঘটনায় আটক আরও ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। একইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনও করা হয়েছে।
আটক দু'জন হলেন- শামীম ওরফে মোল্লা শামীম ও তৌফিক হাসান ওরফে বাবু।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার ঢাকার একটি আদালতে এই আবেদন করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শামীমকে গত ১৫ আগস্ট যশোরের বেনাপোল থেকে আটক করা হয় এবং একই দিন তৌফিককে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। শামীম বেনাপোলে পালিয়ে ছিলেন এবং সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এরপর ঢাকার দক্ষিণ গোরান এলাকা থেকে ২টি পিস্তল, ৮টি গুলি ও ডবল মার্ডারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।
আটকের পর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শামীম এই হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। আটক তৌফিকও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই তদন্ত কর্মকর্তা তাদের হত্যায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন। একইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনও জমা দেন।
তাদের নিয়ে পুলিশ এ পর্যন্ত ২৫ জনকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করল। এর আগে সুমন শিকদার ওরফে মুসাসহ গ্রেপ্তার ৩ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
চলতি বছরের ২৪ মার্চ মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু (৫৫) মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় তার রেস্টুরেন্ট থেকে মাইক্রোবাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়িটি শাহজাহানপুরে একটি সিগনালে আটকে ছিল। তখন আক্রমণকারীরা একটি মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে এসে গুলি চালায়। এসময়
গাড়ির পাশে একটি রিকশায় থাকা কলেজশিক্ষার্থী প্রীতিকেও (২২) গুলি করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দু'জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
Comments