নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পাইয়ে দিতে ঘুষ নিয়েছেন ২ ইউপি সদস্য

টাঙ্গাইল
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি প্রণোদনার অর্থ পাইয়ে দিতে স্থানীয় ২ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা অবশ্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি একটি মহলের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, যমুনা নদীর নিয়মিত ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা ভূঞাপুরের নদীপাড়ের মানুষ। মানবেতর জীবনযাপন করা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঘর নির্মাণের জন্য সরকারি সহায়তা পেতে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মোট ১ হাজার ৫০৩টি পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে গাবসারার ৮৩১টি, অর্জুনার ৪৮৮টি, গোবিন্দাসীর ১১২টি এবং নিকরাইলের ৭২টি পরিবার আছে।

পরে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ২০২১ সালে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সরকারি প্রণোদনার বরাদ্দ আসে এবং তালিকা থেকে ৩৩২টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কিন্তু ওই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্জুনা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য নাসিমা বেগমের বিরুদ্ধে ৭টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাসুদেবকোল গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস গত ১৬ আগস্ট স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

ইউএনও ইশরাত জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি ইতোমধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি ডেইলি স্টারকে জানান, তদন্তে ওই ২ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

'যেহেতু তারা জনপ্রতিনিধি, সেহেতু কেন তাদের বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে', বলেন তিনি।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Development philosophy of the FY2026 budget

What the development philosophy should be for the FY2026 budget

The philosophical focus of the upcoming budget should be pro-poor and pro-people.

13h ago