পঞ্চগড়ে ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মনোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নজরে আসার পর রোববার রাতে চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের পশ্চিম তিস্তাপাড় গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনের উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

দেবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিঠু স্বাক্ষরিত সাময়িক বহিষ্কারের ওই চিঠিতে কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সশরীরে উপজেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাতে মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ এনে বোদা থানায় একটি মামলা দায়ের করে ওই ছাত্রী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় দেড় বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয়। এরপর তিনি ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং মনোয়ারকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ধর্ষণ মামলার আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।'   

তবে অভিযুক্ত মনোয়ার ডেইলি স্টারকে জানান, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। এখন ওই ছাত্রী চাইলে তার বাড়িতে এসে বসবাস করতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, তিনি ওই ছাত্রীকে ঢাকার একটি কলেজে ভর্তি করিয়েছেন এবং বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে একসঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ওই ছাত্রীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করিয়েছে।

Comments