কুয়েট কর্তৃপক্ষের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষের করা মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে (২২) গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

ওই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবী করলেও, পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।

খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিরাপত্তা রক্ষী ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জাহিদুলকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে ভর্তি করেন। হাসপাতালেই আমরা জাহিদুলকে গ্রেপ্তার দেখাই।'

যদিও কুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার সাদেক হোসেন প্রামাণিকের দাবি, 'জাহিদুরসহ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২ শিক্ষার্থী টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা রোববার রাত ৯টার দিকে এমএ রশিদ হলের ১১৭ নম্বর রুম থেকে তাকে ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ আটক করে। পরে হলের প্রভোস্টসহ কুয়েটের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।'

ড. এমএ রশিদ হলের প্রভোস্ট মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, 'অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর কাছে দেশ বিরোধী কিছু বার্তা ও খেলাফত টাইপের বই পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু কথোপকথনে সন্দেহ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'

ক্যাম্পাসে জাহিদুলকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট মো. হামিদুল ইসলাম তা অস্বীকার করেন।

গতকাল সোমবার রাতে কুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার মো. সাদেক হোসেন প্রামাণিক (৩৫) বাদী হয়ে খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলাটি করেন।

এতে আসামি করা হয়েছে ভোলার তজমুদ্দিন সোনাপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কুয়েটের সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান এবং ভোলার বোরহানউদ্দিন মুশির হাট গ্রামের বাসিন্দা রেজওয়ান স্যামকে (২১)।

খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান জানান, ওই ২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে কুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

'বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে,' যোগ করেন ওসি।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

3h ago