কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: ৩ শিক্ষক গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ৩ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ৩ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পু‌লিশ সুপার মোর‌শেদুল হাসান বলেন, 'ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পুরো চক্রকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।'

ওই ৩ শিক্ষক হলেন— ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র স‌চিব লুৎফর রহমান, একই বিদ‌্যাল‌য়ের ইং‌রে‌জি বিষ‌য়ের সহকারী শিক্ষক রা‌সেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিষ‌য়ের সহকারী শিক্ষক জোবা‌য়ের‌ হোসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ভূরুঙ্গামারী সদ‌রের ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বা‌লিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত সোমবার ও মঙ্গলবার ইং‌রে‌জি প্রথম ও দ্বিতীয় প‌ত্রের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শুরুর আগেই ওই কে‌ন্দ্রের বাই‌রে প্রশ্নের অনুলিপি পাওয়া যায়, যার সঙ্গে বোর্ডের প্রশ্নপত্রের পুরোপুরি মিল পাওয়া গেছে।

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পেয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবো‌র্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম, স‌চিব অধ্যাপক মো. জ‌হির উদ্দিন, কু‌ড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল ক‌রিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা ভূরুঙ্গামারী গিয়ে স্থানীয় পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলেন।

নেহাল উদ্দিন পাইলট বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সজিব ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এই কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। হল রুমে অনেক শিক্ষার্থীর আলোচনা শুনলেও প্রথমে তা বিশ্বাস করিনি। পরীক্ষার পর জানতে পারি ঘটনাটি সঠিক ছিল।'

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। এ বিষয়ে উচ্চতর তদন্ত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।'

Comments