‘চুরির ঘটনা’য় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, মরদেহ নিয়ে থানায় বাবা

গাজীপুরের শ্রীপুরে রানা মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে ‘চুরির ঘটনা’য় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম।
‘চুরির ঘটনা’য় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, মরদেহ নিয়ে থানায় বাবা
আজ রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে থানায় এসে মামলা করেন নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে রানা মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে 'চুরির ঘটনা'য় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম।

আজ রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে থানায় এসে মামলা করেন তিনি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ রোববার দুপুরে নিহতের বাবা ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, স্থানীয় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের শিপন মিয়া (২৫), আকাশ মিয়া (২২), উজ্বল মিয়া (২৫) ও ইমনসহ (২৬) অজ্ঞাত ৫-৬ জন।

নিহত রানা মিয়া উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান আসামি শিপন ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। তার ১৫টি ভ্যান গাড়ি আছে। কয়েকদিন আগে ৫টি ভ্যানগাড়ি চুরি হয়।

শনিবার ভোর রাতে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগে রানা মিয়াকে আটকে রাখে শিপন। পরে তাকে পিটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ৩টি ভ্যানগাড়ি চুরির কথা স্বীকার করে রানা। সেসময় স্থানীয়রা রানাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তাকে এক নাগাড়ে পেটাতে থাকে অভিযুক্তরা।

পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ছেলেকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান আমিরুল ইসলাম। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমিরুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বারবার আমি তাদের পায়ে ধরে ছেলেকে মাফ করে দেওয়ার কথা বললেও তারা ছাড়েনি। তারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে বুকের পাজর, দুই হাত-পা ভেঙে ফেলেছে। তারা আমার ছেলেকে মেরেই ফেললো। আমার ছেলের শরীরের এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা নেই যেখানে পেটানো হয়নি। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই, সঠিক বিচারের আশায় হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে সরাসরি থানায় এসেছি।'

Comments