দুর্গাপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত প্রমোদ মানকিনের ভাতিজার মৃত্যু
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুব্রত সাংমার আত্মীয় ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাইমন তজু।
তিনি জানান, প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের ভাতিজা সুব্রত সাংমা গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের রাশিমণি এলাকায় দুর্বৃত্তরা সুব্রত সাংমার ওপর হামলা চালায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে পৌরসভার শিবগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা তার ওপর আবার হামলা চালায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সুব্রত সাংমার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও আদিবাসী ফোরামের নেতাকর্মীরা দুর্গাপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ছাড়া, পৌর শহরের দুর্গাপুর বাজার, উৎরাইল ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব বিরোধের জেরে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আউয়াল এবং তার ছোট ভাই মো. শামীম আহমেদের নেতৃত্বে সুব্রত সাংমার ওপর হামলা হয়।
ঘটনার পরদিন সুব্রত সাংমার বোন কেয়া সাংমা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল ও তার ভাই শামীমসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর আসামিরা আদালত থেকে আগাম জামিন নেন বলে ডেইলি স্টারকে জানান দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
Comments