স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ১৩ বছরের স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্নাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালত।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ১৩ বছরের স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্নাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালত।

বুধবার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক হালিমুল্লাহ চৌধুরী এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না (২২) হাটহাজারী উপজেলার শাহজাহান সিরাজের ছেলে। একই মামলার মুন্নার বাবা শাহজাহান সিরাজ এবং মা নিগার সুলতানা (৪৫) কে এই মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর মুন্নাকে কারাগারে পাঠান আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রিয়াদ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলশিক্ষার্থীকে অপহরণের দায়ে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে ধর্ষণের পর খুন ও লাশ গুমের ঘটনায় আসামি মুন্নাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারায় ফাঁসির আদেশ দেন।'

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পৌর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় কিশোরীকে। পরে তার বাবা-মার সহযোগিতায় শিক্ষার্থীর বস্তায় ভরে গুম করা হয়। ঘটনার দুই দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর মুন্না পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুন্নার বাবা-মা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আদালতে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই এ মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ।

আইনজীবি রিয়াদ জানান ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। রায়ের সময় আদালতে ট্রাইবুন্যালের পিপি আইয়ুব আলী ও আইনজীবী জিসান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

Comments