চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা: নব্য জেএমবির ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
২০২০ সালে চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় এক প্রবাসীসহ নব্য জেএমবির ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১৬ জনকে আসামি করে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে এবং ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
পুলিশের তদন্তে 'নব্য জেএমবির' ২০ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য মিললেও চারজনের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে আপাতত বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ আসামির মধ্যে একজন কিশোর বয়সী। এদের মধ্যে ১৩ জন গ্রেপ্তার আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আসামিরা হলেন- মো. সাইফুল্লাহ (২৪), মো. এমরান (২৪), আবু সালেহ (২৫), মো. আলাউদ্দিন (২৩), মহিদুল আলম (২৫), মো. জহির উদ্দিন (২৮), মো. মঈনউদ্দিন (২৩), রহমত উল্লাহ (২৪), সাহেদ হোসেন (২৪), মো. সেলিম (৩৩), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫), এবং আব্দুল কাইয়ুম (২৪)।
কায়সার উদ্দিন (২১), মো. মোরশেদুল আলম (২৫) ও দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহানকে (২৮) চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির মতাদর্শে পরিচালিত নব্য জেএমবির সদস্য। তারা সরকারি স্থাপনায় হামলা ও সরকারি কর্মচারীদের হত্যা করে নিজেদের কার্যক্রমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন।
আসামি নোমান সংগঠনটির আমিরের দায়িত্বে ছিলেন, সেলিম সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, পুলিশ বক্সে হামলার আগে সেলিম, জহির, নোমান ও মোর্শেদ মিলে জিআই পাইপ দিয়ে একটি বোমা তৈরি করে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটান।
২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট ট্রাফিক বক্সে ওই বিস্ফোরণে দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। বিস্ফোরণে ট্রাফিক বক্সটিতে থাকা সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ড ধ্বংস হয়।
এই হামলায় আইএস জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বলে জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ তখন দাবি করেছিল। তবে পুলিশ তা নাকচ করে দেয়।
এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. এমরানসহ ১৩ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন আদালতে ১৫৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
Comments