হেফাজতে বিএনপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বিএনপি নেতা আইনুর রহমান মুক্তার স্ত্রী মর্জিনা রহমান মামলার আবেদন করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে ৭ বছর আগে পুলিশ হেফাজতে এক বিএনপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় আজ বুধবার ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বিএনপি নেতা আইনুর রহমান মুক্তার স্ত্রী এবং নগরীর বোয়ালিয়া এলাকার উপশহর হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা মর্জিনা রহমান (৫০) মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন। 

মর্জিনা রহমানের আইনজীবী পারভেজ টি জাহেদী আজ রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

আইনুর রহমান মুক্তার মৃত্যু হয় ২০১৫ সালে। তিনি নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ইউনিটের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার মো. শামসুদ্দিন। তিনি ২০২০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।

অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন ওসি নুর হোসেন খন্দকার, আরএমপির তৎকালীন ওসি গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আশিকুর রহমান ও বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন এসআই তৌহিদুল ইসলাম।

অপর ৫ আসামি অজ্ঞাত পরিচয়ের পুলিশ সদস্য বলে জানান মর্জিনা রহমানের আইনজীবী।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোসাব্বিরুল ইসলাম জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে, তবে মামলা দায়েরের বিষয়ে এখনও কোনো আদেশ দেননি।

সরকারকে হয়রানি করতে এই মামলা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৭ জানুয়ারি পুলিশ মুক্তাকে তার উপশহর হাউজিং এস্টেটের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

থানার ভেতরে নির্যাতনের পর সেইদিনই তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই দিনই মুক্তা কারাগারে অসুস্থ হলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের কড়া নজরদারিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মুক্তাকে দাফন করা হয়।

বাদীর আইনজীবী পারভেজ টি জাহেদী বলেন, 'মুক্তাকে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি একটি রাজনৈতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়।'

২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিরোধ) আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'বাদীর মামলা দায়ের করার সাহস না থাকায় এবং তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পেতে দেরি হওয়ায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

3h ago