ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হবিগঞ্জের ২ সাংবাদিকের জামিন

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সাবেক সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২ সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
হবিগঞ্জ
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সাবেক সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২ সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তারা হলেন-মাছরাঙা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ ও বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি বদরুল আলম।

আজ সোমবার সকালে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবুল কাশেম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।  

সাংবাদিকদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মার্জিনা আমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সামিউল হক ও  অ্যাডভোকেট দেওয়ান মিনহাজ গাজী।

মার্জিনা আমিন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অন্তত ৮৯ জন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিয়েছিল।

অভিযোগে বলা হয়, মোহাম্মদ আলম নবীগঞ্জের কুর্শি কার্প হ্যাচারিতে কর্মরত অবস্থায় প্রতি বছর হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় পোনা সরবরাহের মাধ্যমে দুর্নীতি করেছেন। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পুকুর পুনঃখনন বাবদ ৩৮ লাখ টাকা লোপাট করেছেন। যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ প্রায় ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই অর্থবছরে ১১টি উপজেলায় পোনা সরবরাহ করলেও সরকারি কোষাগারে জমা করেছেন অল্প টাকা।

মোহাম্মদ আলম হ্যাচারির বড় বড় গাছ বিক্রির মাধ্যমেও লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১০ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে অফিস মেরামত দেখিয়ে লুটপাটের অভিযোগও আছে। 

মোহাম্মদ আলম দীর্ঘদিন এক কর্মস্থলে চাকরিতে থাকায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন, এমন অভিযোগে পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। 

সংবাদ প্রকাশের পর তিনি হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন। কিন্তু এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ তিনি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলায় মাছরাঙা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ ও বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি বদরুল আলমসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

Comments