হত্যা, ধর্ষণ মামলার ৩ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

১০ বছর আগে পল্লবীতে ৫ থেকে ৭ জনের সহায়তায় স্বামীকে হত্যা করেন সালেহা খাতুন শিউলী।

২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু ৫ বছর আগে তিনি জামিন পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।

'শিলা' ছদ্মনাম ব্যবহার করে বাবার নাম ও স্থায়ী ঠিকানা পাল্টে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পল্লবী এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন তিনি।

গতকাল বুধবার রাতে সালেহাকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'আমরা যখন সালেহাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম তখনও তিনি নিজের আসল পরিচয় অস্বীকার করেন। তিনি রাগান্বিত হয়ে পুলিশকে পাল্টা হুমকি দেন। তাকে হয়রানির জন্য অভিযোগ করবেন বলে জানান।'

পরে পুলিশ তার আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করে।

২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য মো. মহসিনকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী সালেহাকে ঢাকার একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন।

তদন্তকালে সালেহা খাতুন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কয়েকজনের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার বিষয়টি জানান তিনি।

মামলায় বলা হয়েছে, মহসিন তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে নগরীর পল্লবী এলাকায় থাকতেন। এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া চলতো।

আরও ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

বুধবার ২০০৬ ও ২০১৮ সালে ২টি ধর্ষণ মামলায় পলাতক আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

রংপুরের মিঠাপুকুরে ২০০৬ সালের জুন মাসে শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-২-এর সদস্যরা।

সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি গত ১৭ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

২০১৮ সালে রাজধানীর ভাসানটেকে ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. জুলহাসকে গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে জুলহাস পলাতক ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

2h ago