র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এএসআইসহ গ্রেপ্তার ৫

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল হক।

গ্রেপ্তার ৫ জন হলেন- পিরোজপুর সদর থানার এএসআই ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের রুবেল হোসেন ওরফে রানা (২৯), পিরোজপুর জেলা সদরের পান্তাডুবি গ্রামের মনির হোসেন (৩৫), একই গ্রামের সোহেল শিকদার (৩৩), চর লোহারকাটি গ্রামের আবুল কালাম (৩৫) ও শিকারপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩২)।

কল্যাণপুর গ্রামের আশিকুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে রুবেল হোসেনসহ ৫ জন একটি প্রাইভেটকারে করে তার বাড়ির সামনে নামেন। এ সময় তাদের গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের একজন তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

পরে ৬ জন তাদের বাড়িতে ঢুকে নিজেদের র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের সাইবার ক্রাইম টিমের সদস্য পরিচয় দেন। অনলাইনে জুয়া খেলা চালানোর অভিযোগ তুলে আশিকুরের হাতে হ্যান্ডকাফ পরাতে যান তারা। এক পর্যায়ে ১ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। তাদের আচরণে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করেন স্থানীয়রা।  এ সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ৬ জনকে ধরে ফেলেন। এরমধ্যেই কৌশলে পালিয়ে যান কল্যাণপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫)। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাকি ৫ জনকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেন।

আশাশুনি থানার ওসি মমিনুল হক বলেন, 'চাঁদাবাজির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রুবেল হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আশিকুর রহমান মামলা করেছেন। এরমধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম নামের একজন পলাতক। তাদের কাছ থেকে একটি সরকারি পিস্তল, ৮টি গুলি, ২টি হ্যান্ডকাফ ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।' 

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রুবেল হোসেন পিরোজপুর সদর থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত। শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনার সময় রুবেলকে পাওয়া যায়নি। তিনি ছুটিও নেননি। ওই রাতে তিনি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে নিজ উপজেলা আশাশুনিতে ধরা পড়েছেন বলে আজ সকালে শুনেছেন তারা। রুবেলকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Comments