ডাচ-বাংলা ব্যাংক

ডাকাতির ২৯ লাখ টাকা দিয়ে মাইক্রোবাস কেনেন আকাশ

মানি প্ল্যান্ট
বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মানি প্ল্যান্টের এই গাড়িতে করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা পরিবহন করা হচ্ছিল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির অন্যতম পরিকল্পনাকারী আকাশ ওই টাকার একটি বড় অংশ নেন। টাকা নিয়ে তিনি সরাসরি খুলনায় যান এবং একটি মাইক্রোবাস কেনেন।

তার ধারণা ছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ধরতে পারবে না।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আকাশসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার ডিবি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আকাশ ২৯ লাখ টাকা দিয়ে মাইক্রোবাসটি কেনেন।'

তবে ডাকাতির পর আকাশ কত টাকা নিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তার কেনা মাইক্রোবাসটি আটকের চেষ্টা করছে ডিবি।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশসহ এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

গত ৯ মার্চ সকালে এটিএম মেশিনে টাকা রিফিল করতে যাওয়ার পথে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) একটি গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি হয়। 

টাকা পরিবহনের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা 'মানি প্ল্যান্ট' এর কর্মকর্তারা ৪টি ট্রাঙ্কে টাকা নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে সাভার ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিলেন।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদও আজ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডাকাতদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাস কিনেছে, আর কয়েকজন ডাকাত টাকার একটি অংশ তাদের আত্মীয় ও বিশ্বস্তদের ধার দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে উঠতে পারেনি আকাশ। ওই সময় ওই এলাকার পাশ দিয়ে যাওয়া আরেকটি গাড়ির ড্যাশক্যামে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে তাকে দৌঁড়াতে দেখা গেছে।

ডাকাতির কয়েক ঘণ্টা পর ৩টি ট্রাঙ্ক উদ্ধার এবং মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের ২ পরিচালকসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। তবে অপরাধের সঙ্গে যোগসূত্র না পাওয়ায় শুক্রবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার রাতেই মানি প্ল্যান্টের পরিচালক (অপারেশন্স) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার পর ঢাকা, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গত শনিবার ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago