আইন মেনেই বনানী ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার: আইজিপি

নাশকতাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে গত ২০ মার্চ রাত ১টার দিকে রাজধানীর বনানী ক্লাব থেকে মুন্সীগঞ্জ বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
 আইন মেনেই বনানী ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার: আইজিপি
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সম্প্রতি রাজধানীর একটি ক্লাব থেকে আইন মেনেই বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ক্লাবে গিয়ে খাবার খাওয়া অপরাধ কিনা এবং সেখানে কী ধরনের 'রাষ্ট্রবিরোধী' ও 'নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের' পরিকল্পনা হয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। এফআইআরে বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে।'

আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিককের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, 'অধিকতর তদন্তে এ বিষয়ে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।'

কোনো পরোয়ানা ছাড়াই কেন গ্রেপ্তার করা হলো এবং বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'পুলিশ পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারে এবং এটি আইন অনুযায়ী করা হয়েছে।'

নাশকতাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে গত ২০ মার্চ রাত ১টার দিকে রাজধানীর বনানী ক্লাব থেকে মুন্সীগঞ্জ বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

বিএনপি সূত্র জানায়, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মমিন আলীর আমন্ত্রণে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী বনানী ক্লাবে যান। মমিন আলী বনানী ক্লাবের সদস্য। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের সেখানে আমন্ত্রণ জানান। খবর পেয়ে ভোররাত রাত ১টার দিকে তাদের আটক করে প্রথমে থানায়, পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মধ্যে মমিন আলী, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হেসেন ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ আলিও রয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন জানান, মমিন আলী মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির দলীয় এমপি প্রার্থী। তিনি ওমরাহ করতে যাবেন। যাওয়ার আগে তার নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। সেই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সেখান থেকে আটক করেছে।

সেদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেই তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

Comments