গাজীপুরে খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা (উত্তর মোল্লাপাড়া) এলাকার একটি বাসায় খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় ১২ দিন পর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জিএমপি'র গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জিএমপি'র গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে উপকমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল ছালামের ছেলে আবু তাহের (২৯), মহানগরের দক্ষিণ সালনা মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত সামরুদ্দিনের ছেলে মফিজউদ্দিন ওরফে মফু (৩৭), উত্তর সালনা পালোয়ান পাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম পালোয়ানের ছেলে খোকন মিয়া, দক্ষিণ সালনা মিয়াপাড়া এলাকার হাবিবুল্লাহর ছেলে আজিজুল হাকিম (২৮) এবং দক্ষিণ সালনা মোল্লাপাড়া মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল মালেক (৩২)।
তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকাসহ ওই বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত থেকে গ্রিল কাটার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি'র) গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান জানান, ১২ মার্চ দিবাগত রাত ১২টায় মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা (উত্তর মোল্লাপাড়া) এলাকার মেহজাবিন আক্তারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৬ থেকে ৭ জনের একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে মেহজাবিন আক্তারের ছেলে মাহিউস সুনান চৌধুরীকে (১৯) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় চিৎকার দিলে ডাকাতরা গলায় চাঁদর টুকরা পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে তারা মেহজাবিন আক্তারের ঘর থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে গত মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেত (৩নং রোড) এলাকা থেকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনায় জড়িত অপর ৪ আসামীকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে শুক্রবার গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ২টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
Comments