রানা প্লাজার মালিকের জামিনে চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ

আগামী ৮ মে পর্যন্ত সোহেল রানার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসে পড়ে অন্তত ১ হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

আজ রোববার সোহেল রানার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এই স্থগিতাদেশ দেন।

আগামী ৮ মে পর্যন্ত সোহেল রানার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আবেদনে হাইকোর্টের জামিনের রায়ের ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ চেয়েছিলা আমরা। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সোহেল রানা এই মামলায় জামিন পাওয়ার যোগ্য নন।'

তিনি আরও বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট চেম্বার আদালতের এই রায়ের পর কারাগার থেকে বের হতে পারবে না সোহেল রানা।'

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী শুনানি করেন এবং সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম।

গত ৬ এপ্রিল এই হত্যা মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের জামিনের পর তার জেল থেকে বের হতে আর কোনো বাধা ছিল না।

এ মামলায় সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এক রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সোহেল রানার আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম ওই দিন ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, এই মামলায় তার মক্কেল ১০ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।

তিনি বলেন, 'এই মামলার ৫৯৪ জন সাক্ষী আছে। কিন্তু গত ১০ বছরে বিচারিক আদালতে মাত্র ৩৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।'

মামলার মোট ৩৮ আসামির মধ্যে সোহেল রানা ছাড়া বাকি ৩৭ জন এখন জামিনে রয়েছেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, 'ভবন নির্মাণে অবহেলার অভিযোগে মামলা হয়েছে, হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে। সোহেল রানা এর আগে বাকি ৫ থেকে ৭টি মামলায় হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। রানা প্লাজা ধসে যাওয়ার ঘটনায় সোহেল রানার দায় অবশ্যই আছে। কিন্তু তার বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।'

'ভবনটির পরিকল্পনা অনুমোদনকারী রাজউক প্রকৌশলী এবং রানা প্লাজার গার্মেন্টস মালিকদেরও এ ঘটনার দায় রয়েছে', যোগ করেন তিনি।

রানা প্লাজা ধসে পরার ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত ও আড়াই হাজারের বেশি মানুষ আহত হন, যাদের অধিকাংশই গার্মেন্টস শ্রমিক।

এই দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ বাদী হয়ে ভবনটির মালিক সোহেল রানা ও তার বাবাসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ২০১৫ সালের ২৪ মে হত্যা মামলায় সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই মামলায় সাভারের সাবেক যুবলীগ নেতা সোহেল রানাসহ ৪১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

High Temperature Days: Barring miracle, record of 76yrs breaks today

At least 23 days of this month were heatwave days, which equals the record set in 2019 for the entire year.

12h ago