রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবিপিএনের সঙ্গে গোলাগুলি, আরসা কমান্ডার নিহত

আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার ৩ সদস্যকে।

গোলাগুলিতে ঘটনায় এপিবিএন ব্যাটালিয়ন-৮ এর ২ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এপিবিএন ৮ ব্যাটালিয়ন -৮ এর সহকারি পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ এসব তথ্য জানান।

এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গোলাগুলিতে নিহত আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া (৩৪) উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত ৪টি হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি।

অভিযানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ৩ জন হলেন- ১৯ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ তাহের (৪৫), একই ক্যাম্পের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও লিয়াকত আলী (২৫)। তারা ৩ জনই আরসা সদস্য বলে জানিয়েছে এপিবিএন।

সহকারি পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছেন এমন খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা সেখানে অভিযানে যান।

সেসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পাহাড়ের দিকে পালাতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকায় তল্লাশী করে আরসার ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় ক্যাম্পের একটি ঘরের কক্ষের ভেতরে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। যেখানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি ছিল।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মনদ আলী বলেন, 'এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago