অস্ত্র মামলায় আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তার শাস্তি কার্যকর হবে বলেও রায়ে জানিয়েছেন বিচারক।
আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র মামলায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুরশিদ আহমেদ আরাভ খানের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিচারক বলেছেন, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে দুবাইতে বসবাসকারী আরাভ খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তার শাস্তি কার্যকর হবে বলেও রায়ে জানিয়েছেন বিচারক।

এর আগে মামলার অভিযোগকারীসহ ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি মগবাজারে শ্বশুর সেকেন্দার আলীর বাড়িতে অস্ত্রের মুখে টাকা আদায় করতে যান আরাভ খান। পরবর্তীতে তাকে ওই বাড়ির বাইরে থেকে আটক করে রমনা থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবারও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১ মার্চ ডিবি তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। গত ১০ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

আরাভ ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আদালত এই মামলায় আরাভকে 'পলাতক' ঘোষণা করেন এবং ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন।

আরভ খান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি জুয়েলারি দোকান চালান। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট রয়েছে।

তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলায়ও পলাতক আসামি। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই আরাভ খানের বনানীর বাসায় নিহত হন মামুন।

মামলাটি বর্তমানে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

 

Comments