এডিপির অর্থ আত্মসাৎ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ কারাগারে ২

মসজিদ ছাড়া ৩টি সমিতি কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
Joypurhat Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

জয়পুরহাটে ভুয়া সংস্থা ও প্রকল্প দেখিয়ে জেলা পরিষদের ৪টি বরাদ্দের ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় বম্বু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলীসহ ২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলার আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন—জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী (৩৫) ও ধারকী মাঝিপাড়া গ্রামের ফারাজ উদ্দীনের ছেলে রাজু আহমেদ (৩৭)।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী সরদার বলেন, 'শাজাহান আলী বম্বু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। কেউ সংগঠন বিরোধী কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মামলার বিবরণ ও দুদকের অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের এডিপি বরাদ্দের সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের মাতৃভূমি বহুমুখী উন্নয়ন সংস্থার উন্নয়নের জন্য ২ লাখ টাকা, হাজিপাড়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির উন্নয়নের জন্য ২ লাখ, ধারকী ফকিরপাড়া জামে মসজিদের জন্য ১ লাখ টাকা ও ধারকী মাতৃভূমি বহুমুখী উন্নয়ন সংস্থার জন্য মোট ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ধারকী ফকিরপাড়া জামে মসজিদের জন্য ২২ হাজার টাকা খরচ করা হয়। এই ৪ প্রকল্পের অবশিষ্ট ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা তারা ভুয়া পিআইসি কমিটি গঠন করে ও কোনো কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন।

এ ছাড়া, মসজিদ ছাড়া ৩টি সমিতি কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ধারকী বড়াইল পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহবুবুল আলম বাবু বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট আদালতে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বগুড়া কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন।

দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর আলম মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে শাজাহান ও রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪০৯/১০৯ ধারায় বিচার প্রার্থনা করা হয়। মামলার অপর ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

Comments