১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ, উপজেলা হিসাবরক্ষকসহ ৪ কর্মকর্তার ১৫ বছর কারাদণ্ড

বগুড়ায় ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বগুড়ায় ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বগুড়া স্পেশাল কোর্টের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ রায় দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) মো. খলিলুর রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড দুপচাঁচিয়া শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. আব্দুল বারী, মো. আব্দুস সালাম আকন্দ এবং মো. ইউসুফ আলী।

ভুয়া পেনশন হোল্ডার (পিপিও) তৈরি করে মাসিক ভাতা হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।

বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেন জানান পিপি।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট চার্জশিট জমা দেওয়া হয় আদালতে। আদালতে মোট ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।

পিপি জানান, রায়ে ৪০৯ ধারায় ৪ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪২০ ধারায় প্রত্যেকের ৩ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ২০১ ধারায় প্রত্যেকের ২ বছর কারাদণ্ড ও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

একইসঙ্গে আসামিদের আত্মসাৎকৃত ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা আগামী ৩ মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

Comments