হেফাজতে নির্যাতন: পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে ৩ দিনের সময় আবেদন

আসামিদের মধ্যে রাকিবুল ছাড়া বাকি ৩ জনই আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অভিযোগ করেন, বড়াইগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব, লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন, উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান ও ওমর ফারুক শিমুল এবং ১ কনস্টেবল তাদের নির্যাতন করেছেন।
মানচিত্রে নাটোর
মানচিত্রে নাটোর। স্টার ফাইল ফটো

নাটোরের লালপুরে থানা হেফাজতে আসামি নির্যাতনের অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে ৩ কার্য দিবস সময়ের আবেদন করেছে পুলিশ।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি ৩ দিনের ছুটিতে থাকায় এই সময়ের আবেদন করা হয়েছে।

আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৩ কার্য দিবস সময় মঞ্জুর করেছেন।

এর ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় পাবেন পুলিশ সুপার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব, লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন, ২ উপপরিদর্শক এবং ১ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন লালপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন।

গত বুধবার লালপুর থানা পুলিশ অটোরিকশা ছিনতাই মামলায় ৪ আসামিকে আদালতে পাঠায়।

তারা হচ্ছেন, মো. সোহাগ হোসেন, শামীম মোল্লা, মো. সালাম ও মো. রাকিবুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে রাকিবুল ছাড়া বাকি ৩ জনই আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অভিযোগ করেন, বড়াইগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব, লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন, উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান ও ওমর ফারুক শিমুল এবং ১ কনস্টেবল তাদের নির্যাতন করেছেন।

এ সময় আসামিরা হেফাজতে নির্যাতনের পাশাপাশি আরও অভিযোগ করেন, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় ৩ দিন আটকে রাখার পর আদালতে সোপর্দ করেছে থানা পুলিশ।

আদালতে দেওয়া বক্তব্য ও তাদের শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পর্যালোচনা করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন আদালত।

তাদের শারীরিক পরীক্ষা করে নাটোরের জেল সুপার এবং নাটোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রস্তুত করে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. সামিউল ইসলামের সই করা মেডিকেল সার্টিফিকেট আদালতে দাখিল করেন নাটোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

মেডিকেল সার্টিফিকেট পর্যালোচনা করে ৩ আসামির মধ্যে মো. সালাম ও মো. শামীম মোল্লার শরীরে নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পান আদালত।

পরবর্তীতে হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করতে এবং অভিযুক্তদের পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে নাটোরের পুলিশ সুপারকে আদেশ দেন আদালত।

Comments