মানিকগঞ্জ

ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা চালিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মালিক-কর্মচারীদের মারধর এবং নগদ ২ লাখ টাকার বেশি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাজু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
হামলাকারীরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জানালার গ্লাস, ডিজিটাল ও স্টিলের সাইনবোর্ড, কলাপসিবল গেট, দরজার তালা ও কিছু মেশিন ভাঙচুর করে। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মালিক-কর্মচারীদের মারধর এবং নগদ ২ লাখ টাকার বেশি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাজু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মিজান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এবং দৌলতপুর উপজেলা বিআরডিবি'র ৫ বারের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান দৌলতপুর থানায় রাজু ও তার সহযোগী মো. রাসেলসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় সমেতপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে রাজু এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তারা বিভিন্ন সময় ভাঙচুর ও মারধরের হুমকি দেয়। আজ সকাল ১১টার দিকে রাজু ও তার সহযোগীরা লোহার রড, হাতুড়ি ও কাঠের লাঠি নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে। আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তারা আমার স্ত্রী কুলসুম আরা, কর্মচারী মো. মোরশেদ ও ডলিকেও মারধর করে। তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জানালার গ্লাস, ডিজিটাল ও স্টিলের সাইনবোর্ড, কলাপসিবল গেট, দরজার তালা ও কিছু মেশিন ভাঙচুর করে। এরপর রাজু ক্যাশবাক্স থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।'

'এসময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে তারা আসার আগেই রাজু এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে আমি দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তবে সেটি এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি', বলেন তিনি।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, 'আহত কর্মচারী মোরশেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমিসহ আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি এবং ওষুধ সেবন করছি।'

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাজুর ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেন। কিন্তু পরক্ষণেই অভিযোগ শুনে ফোন কেটে দেন। এরপর তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments