অপরাধ ও বিচার

বেসিক ব্যাংক: সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত ১০ আগস্ট

কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এই ঘটনায় বাচ্চু ও শাহ আলমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পান এবং তাদেরকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেন।
বেসিক ব্যাংকের লোগো। ছবি: ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
বেসিক ব্যাংকের লোগো। ছবি: ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বেসিক ব্যাংকের ২১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী ১০ আগস্ট সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—বেসিক ব্যাংকের বরখাস্তকৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম, শাহ আলম ভূঁইয়া ও বে-ন্যাভিগেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম।

তাদের মধ্যে ফয়সাল মুরাদ জামিনে রয়েছেন এবং বাচ্চুসহ অপর ৩ জন মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

দেশের কোনো আদালত থেকে জামিন না পাওয়ায় চার্জশিটে তাদের 'পলাতক' দেখিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের কাছে আবেদনও করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা গত ১২ জুন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ২১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফয়সাল মুরাদ ও ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর ব্যাংকের কর্মকর্তারা অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে বে-ন্যাভিগেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল মুরাদকে ২১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কোনো কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়নি। এই টাকা তারা আত্মসাৎ করেন।

কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এই ঘটনায় বাচ্চু ও শাহ আলমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পান এবং তাদেরকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেন।

Comments